কলকাতা: দাবি অনুযায়ী দুর্গাপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ফুটন্ত তেলে ফেলে দেওয়া হল এক কচুরি বিক্রেতাকে। সেই সঙ্গে গরম তেল ঢেলে দেওয়া হল ওই ব্যবসায়ীর বৃদ্ধা মায়ের শরীরে। এমনই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ কলকাতার এক দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যার দিকে। অভিযোগকারী ব্যক্তির একটি কচুরি এবং অন্যান্য তেলেভাজার দোকান রয়েছে বালিগঞ্জ প্লেস এলাকায়। সেখানের একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে দুর্গাপুজোর চাঁদা বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা চাঁদা দিতে অপারক ছিলেন ব্যবসায়ী। তিনি ১৫ হাজার টাকার চেক দিতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
কিন্তু পুজো উদ্যোক্তারা সেই টাকা নিতে নারাজ। পুরো ২০ হাজার টাকাই দিতে হবে। অতিমারির সময়ে ব্যবসার মন্দা চলছে বলে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ওই ব্যবসায়ী। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সেই সময়ে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর শুরু করে চাঁদা চাইতে আসা পুজো উদ্যোক্তারা। ধাক্কা দিয়ে কড়াইয়ের ফুটন্ত তেলে ফেলে দেওয়া হয় দোকানীকে। ছোট্ট দোকানে থাকা ব্যবসায়ীর ৭০ বছরের বৃদ্ধা মায়ের উপরেও চলে মারধর। গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় দোকানের কড়াইতে থাকা গরম তেল।
আরও পড়ুন- ঘরের দরজায় নির্যাতিতার স্বামীকে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা
খুব স্বাভাবিকভাবেই ওই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় চাঁদার দাবিতে আসা পুজো উদ্যোক্তারা। গরম তেলে জখম ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর মা-কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ভর্তি করা হয় একটি নার্সিং হোমে। ওই ব্যবসায়ীর কোমরের নিচের অংশ এবং দুই হাত সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রক্তদান শিবিরে ‘উদ্দাম নাচ’
অতিমারির মাঝে দুর্গা পুজো নিয়ে অনেক বিধি নিষেধ রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে পুজো কমিটিগুলোকে। এরই মাঝে চাঁদার জুলুম প্রশ্ন তুলে দিল পুজো উদ্যোক্তাদের মানবিকতা নিয়ে।