কলকাতা: ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চার পুরনিগমের (Bengal Civic Polls) ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। বুধবারই সবকিছু সংরক্ষণ করতে হবে বলে জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীরা যে সমস্ত অভিযোগ আদালতে জানিয়েছেন সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিন দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ ফেব্রুয়ারি।
কলকাতা-সহ পাঁচ পুরনিগমের ভোটে ব্যাপক অনিয়ম ও হিংসা হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এব্যাপারে সিপিএম এবং বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আবেদনকারীদের দাবি, ভয়ের পরিবেশে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার ভোট করা সম্ভব নয়। ওই ভোট বাতিল করতে হবে। এরই মধ্যে ওই ১০৮ পুরসভার বহু ওয়ার্ডে মনোনয়ন পেশ করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, কোচবিহারের দিনহাটা, বীরভূমের সিউড়ি এবং সাঁইথিয়া পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, বহু ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থীদের হয় মনোনয়নপত্র পেশ করতে দেওয়া হয়নি কিংবা মনোনয়ন পেশের পরে হুমকি দিয়ে তা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে।
এইসব অভিযোগ নিয়েই আদালতে গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আদালতের কাছে তাদের আবেদন, ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, সচিত্র পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করতে হবে, মনোনয়ন সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানাতে হবে তাও। বিধাননগর পুরনিগমের বাম প্রার্থী সেঁজুতি সেনগুপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে গিয়েছেন। হাইকোর্ট ওই প্রার্থীকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছে।
এর আগেও পুরভোটের মামলায় আদালতের প্রশ্ন ছিল, ভোটকে কেন্দ্র করে হচ্ছে টা কী? কলকাতার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছেড়ে দেয়। আদালত বলেছিল, কলকাতার ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দায় বর্তাবে কমিশনের উপরে। ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগমের ভোটেও একই কথা বলেছিল আদালত। বিরোধীদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই ১২ ফেব্রুয়ারির ভোটে বিস্তর অনিয়ম হয়েছে।