কলকাতা: বর্তমানে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ব্যবহারকারীদের অধিকাংশের কাছেই রয়েছে স্মার্টফোন (Smart Phone)। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে স্মার্টফোন। আর স্মার্টফোন মানেই তাতে নিজের পছন্দ মতো একাধিক অ্যাপ (Apps) ডাউনলোড করে রাখা। ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সব কিছুর জন্যই আলাদা আলাদা অ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু, আপনি কী জানেন, সারা বিশ্বে কোন অ্যাপগুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়? কোন অ্যাপগুলি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়? চলুন জেনে নিন-
হোয়াটসঅ্যাপ- সারা বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। অ্যাপটি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার যোগ করেই চলেছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, এই অ্যাপের মাধ্যমেই একে অপরকে টাকা পাঠানো যায়।
টিকটক- টিকটক যা চীনে ডুইয়িন নামেও পরিচিত। গত তিন বছর ধরে, টিকটক সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় অ্যাপ হয়ে উঠেছে। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটিতে। টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং।
ইনস্টাগ্রাম- ইনস্টাগ্রাম অনলাইনে ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার এমন একটি অনলাইন মোবাইল ফটো শেয়ারিং, ভিডিও শেয়ারিং এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিসেবা। ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে ছবি এবং ১৫ সেকেন্ডের দৈঘ্যের ভিডিও আপলোড করা যায। প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে যারা কিনা ফটো শেয়ার করে থাকে।
আরও পড়ুন:স্বস্তি নাকি পকেটে টান? জানুন কলকাতায় আজ পেট্রল-ডিজেল কত
ফেসবুক- হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো ফেসবুকও সমান জনপ্রিয়। গোটা বিশ্ব এক মুহূর্তে কার্যত আপনার মঠোয় এনে দেয় এই অ্যাপ। ফেইসবুক হল মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ফেসবুক মেসেঞ্জার- ফেসবুক মেসেঞ্জার হল একটি বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম। প্রথম দিকে এটিকে ফেসবুক চ্যাট নামে অতিবাহিত করা হতো৷ সংস্থাটি ২০১০ সালে তাদের বার্তা আদান-প্রদানের পরিষেবাটিকে আরও নতুন ভাবে নিয়ে আসে। এরপর ২০২২-এর অগাস্টে স্বতন্ত্রভাবে আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি উন্মুক্ত করে।
ক্যাপক্যাট- টিকটকের মতো ক্যাপকাট অ্যাপটিও বেশ জনপ্রিয়। এই অ্যাপটিতে ছোট ভিডিয়ো তৈরি করা যায়। এমনকি সেগুলি এডিটও করা যায়।
টেলিগ্রাম- টেলিগ্রামও সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। সম্প্রতি সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী স্টোরি ফিচার চালু করেছে। ব্যবহারকারীরা ৪৮ ঘন্টার জন্য টেলিগ্রামে স্টোরি সেট করতে পারবেন। এছাড়াও ব্যবহারকারীরা বার্তা, ছবি, ভিডিও, স্টিকার, অডিওসহ যেকোন প্রকারের নথি পাঠাতে পারে এই অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যান্ড্রয়েড, গ্নু/লিনাক্স, আইওএস, ম্যাকওএস, উইন্ডোজের জন্য টেলিগ্রামের ক্লায়েন্ট অ্যাপলিকেশন রয়েছে।
স্ন্যাপচ্যাট এবং স্পোটিফাই- স্ন্যাপচ্যাট এবং স্পোটিফাই জনপ্রিয় অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে। Spotify অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের অডিও শুনতে পারবেন।
এছাড়াও বেশিরভাগ মানুষের ফোনে টুইটার, জিও সিনেমা, হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স এবং অ্যামজন প্রাইম ইত্যাদির মতো অ্যাপও পাবেন। এছাড়াও, আজকাল অনেকের ফোনে ক্যানভা এবং পিকাসার্টের মতো এডিটিং অ্যাপগুলিও ইনস্টল করা হয়েছে।