কলকাতা: বর্তমানে কম-বেশি সকলেই ওয়াইফাইয়ের (Wifi) ব্যবহার করে থাকে। এখন তো ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিসের দৌলতে ওয়াইফাই রাউটারের ( Wifi Router) প্রয়োজন বেড়েছে। কিন্তু, অনেকের বাড়িতেই দিন-রাত ওয়াইফাই চলতে থাকে। এমনকি কারেন্ট না থাকলেও বিকল্প ব্যবস্থায় অনলাইন ইউপিএসের মাধ্যমে যন্ত্রটি চালু রাখার চেষ্টা করেন। যাতে সব সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। কিন্তু জানেন কী, সারা রাত ওয়াইফাই চালিয়ে রাখার ফলে কী কী ক্ষতি হচ্ছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) সারাদিন ওয়াইফাই রাউটার চললে তা থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন তৈরি হয়, যা শরীরের পক্ষে বিরাট ক্ষতিকর। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে শরীরে এমন কিছু রোগ দেখা দিতে পারে, যা খুবই বিপজ্জনক।
২) ওয়াইফাই রেডিয়েশনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে শরীরে নানা বিরূপ পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যার মধ্য়ে অন্যতম হল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা বৃদ্ধি। এই কারণে ক্যানসার রোগের আশঙ্কা বাড়ে। এমনিতেই এদেশে ক্যানসারের প্রকোপ বেড়েছে। তার উপর যদি ওয়াইফাই রেডিয়েশনের খারাপ প্রভাব শরীরে পড়ে, তাহলে এই মারণ রোগ থেকে বাঁচার আর কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না।
৩)আপনি যদি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে রাতে শুতে যাওয়ার সময় ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করে দিন। এছাড়াও যখন আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না, তখন বন্ধ করে রাখুন।
আরও পড়ুন:খুব শীঘ্রই ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে বন্ধ হতে চলেছে দরকারি এই ফিচার
৪) অনেক সময় ওয়াইফাই থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয়, তাতে মাথায় প্রভাব ফেলে। রেডিয়েশনের প্রভাবে আমাদের দেহে মেলাটোনিন (melatonin) হরমোনের ক্ষরণ ব্য়হত হয়, যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম কমে যায়। আর এমনটা দিনের পর দিন ঘটতে থাকলে ইনসোমনিয়ার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। পরে সেই সমস্যা আরও বেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫) গবেষণা বলছে, দীর্ঘ ৭-৮ ঘন্টা ওয়াইফাই রাউটারের গা ঘেঁষে থাকলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী দীর্ঘ সময় ধরে যদি শরীরের উপর ওয়াইফাই রেডিয়েশনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তাহলে নাকি বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই তো সময় থাকতে থাকতে নিজে তো সাবধান হন।