বোস্টন: দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগীরা আফগান জনগণের ডেটাবেস তৈরিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কারণ তাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল, আইন-শৃঙ্খলা এবং সরকারি জবাবদিহিতা প্রচার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমির আধুনিকায়ন।
কিন্তু তালিবানরা দ্রুত ক্ষমতা দখল করার সময় বায়োমেট্রিক সহ সেই ডিজিটাল যন্ত্রপাতিগুলির অধিকাংশই হাতিয়ে নিয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা ডাটা তালিবানের হাতে চলে যাবে অত্যন্ত ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তালিবান সরকার গঠনের পর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এবং শত্রুদের মানসিক ভাবে হেনস্থা করতে এই তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করতে পারে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
এই ধরনের তথ্য গঠনমূলকভাবে কাজে লাগানো – শিক্ষা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই – গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেগুলোকেই এখন বিরোধী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভারতে সম্পন্ন ৭০ কোটির বেশি টিকাকরণ, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
নজরদারি বিশেষজ্ঞ ফ্রাঙ্ক পাস্কুয়েলের মতে, আফগানিদের তথ্য তালিবানের হাতে চলে যাওয়া ভয়ঙ্কর পরিণতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দিন পরিস্থিতির নরকের সমান হতে পারে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- ‘পাকিস্তান দূর হটো’ স্লোগানে তপ্ত কাবুল, গুলি ছুড়ল তালিবান
কাবুল-সহ আফগানিস্তানের ৩৩টি প্রদেশে ক্ষমতা দখল করলেও পঞ্জশির এখন তালিবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে৷ সেখানে আধিপত্য কায়েম করতে দু’সপ্তাহ ধরে সেখানে প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে তালিবান৷ যদিও রবিবার তালিবানকে শান্তি আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছেন উত্তরের জোটের অন্যতম মুখ আহমেদ মাসুদ৷ তিনি আগেও আলোচনার বার্তা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু নানা কারণেই তা ভেস্তে যায়৷