কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্কঃ বেজিং-ওয়াশিংটন ক্রমেই বেড়ে চলা যুদ্ধের আবহে এবার তাইওয়ানকে একশো কোটি ডলারেরও বেশি যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে পেন্টাগনের তরফে। মার্কিন-তাইওয়ান এই যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির সমঝোতার প্রতিক্রিয়াও বেজিংয়ের তরফে দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র, অবিলম্বে ওই অস্ত্র বিক্রির চুক্তি স্থগিতের দাবি জানিয়ে বলেছেন, সঠিক জবাব ঠিক সময়ে দেওয়া হবে।
মার্কিন তাইওযান এই অস্ত্রচুক্তির খবরটি প্রথম আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম পলিটিকো-য় প্রকাশিত হয়। মার্কিন সেনেট সূত্রে খবর, প্রধান দুই প্রতিপক্ষ রিপাবিলিকান আর ডেমোক্রাট-এর অধিকাংশ সদস্য চাইছেন এই সংকটের সময়ে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে। সামরিক অস্ত্র বিক্রির এই চুক্তিতে নিয়ম মাফিক অনুমোদন দেয় মার্কিন বিদেশ দফতর। মোট ৬০টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপনাস্ত্র আর ১০০টি বিশেষ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রও আছে যুদ্ধাস্ত্র চুক্তির প্যাকেজে। মার্কিন বিদেশ দফতর এই চুক্তির অনুমোদন দিলেও চূড়ান্ত সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার কথা হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর। অবশ্য সে ব্যাপারে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল। কারণ মার্কিন পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অধিকাংশ সদস্য চীন-তাইওয়ান দ্বৈরথে চ্বীপরাষ্ট্রের পাশে থেকে প্রয়োজনে যে কোনও মূল্যে চীনকে মোকাবিলা করার পক্রপাতী।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাইওয়ানের সামরিক বিভাগের মুখপাত্র জানিযেছেন, চীনের সাম্প্রতিক প্ররোচনামূলক আচরণ বিশেষত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে আমেরিকার এই পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ তাইওয়ানকে বাড়তি মনোবল যোগাবে। আর চীনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের দাবি, আমেরিকার এই সামরিক অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত গোটা উপসাগরীয় এলাকায শান্তি ও সুস্থিতির পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে। এর প্রতিক্রিয়া হবে দীর্ঘমেয়াদী। অবশ্য চীনে্র এই রক্তচক্ষুকে বড় একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের বক্তব্য, তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য এই সমরাস্ত্র বিত্রির চুক্তি অত্যন্ত জরুরি ছিল। দ্বীপরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত সময়োপযোগী।