ওয়াশিংটন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে কথাবার্তা বলার জন্য কমিউনিকেশন লাইন (Communication Line) তৈরি হয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত তা একবারই ব্যবহার হয়েছে। এক মার্কিন আধিকারিক (US Official) এই খবর এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে (International News Agency) জানিয়েছেন। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ডিকনফ্লিকশন লাইন (Deconfliction Line) মারফৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল, কারণ মার্কিন কর্তৃপক্ষ (US Authority) ইউক্রেনের (Ukraine) গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর কাছাকাছি রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।
এই ডিকনফ্লিকশন লাইনের ব্যবহার সম্পর্কে সামান্য তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউরোপিয়ান কম্যান্ড (U.S. military’s European Command) এবং রাশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (Russia’s National Defense Management Center) এই কথপোকথন হয়েছিল। এই তথ্য জনসমক্ষে আনা ওই মার্কিন আধিকারিক বেশি কিছু জানাতে চাননি। তবে তিনি এটা জানিয়েছেন, গত ১৫ নভেম্বর ন্যাটো সদস্য (NATO-member) পোল্যান্ডের মাটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তখন এই নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States of America) এবং রাশিয়ার (Russia) মধ্যে এই ডিকনফ্লিকশন লাইন ব্যবহার করে এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি। প্রসঙ্গগত, ইউক্রেনীয় বায়ু সেনার ক্ষেপণাস্ত্র (Ukrainian air defense missile) ওই বিস্ফোরণ ঘটালেও, রাশিয়ার দিকে আঙুল উঠেছে। আর তার কারণ হল, রাশিয়াই এই যুদ্ধ শুরু করেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। এই অভিযোগ আর কারওর নয়। ন্যাটো এই অভিযোগ এনেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
রাশিয়ার ঠিক কোন কোন সামরিক পদক্ষেপের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিন্তিত, সে নিয়ে ওই মার্কিন আধিকারিক স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি। তবে, ক্রেমলিন তরফে নেওয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নেওয়া যে সমস্ত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে অন্যতম হল, ইউক্রেনের জাপোপিঝঝিয়া পরমাণু শক্তি কেন্দ্র (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant)-এর কাছে রাশিয়া যে সামরিক অভিযান। এটি ইউরোপের বৃহত্তর পরমাণু কেন্দ্র এবং এটি রাশিয়াব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বর্তমানে। এদিকে, ইউক্রেনে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে রেখেছে যে রাশিয়া যে কোনও সময় নোভা কাখোভকা বাঁধ (Nova Kakhovka dam) উড়িয়ে দিতে পারে। এই বাঁধ উড়িয়ে দিলে ইউক্রেনের আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন সহ একাধিক অঞ্চল বন্যায় ভেসে যেতে পারে।