ওয়েব ডেস্ক: ২০২৫ সালজুড়ে বিভিন্ন দেশে তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদে (Young Generation Protest) টালমাটাল হয়ে ওঠে বিশ্ব রাজনীতি। মাদাগাস্কার থেকে মেক্সিকো, মরোক্কো, নেপাল, পেরু — সর্বত্রই বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামে জেন-জি’রা (Gen Z)। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীরাই বিদ্রোহের মুখ হয়ে ওঠে। দুর্নীতি, বেকারত্ব, আর্থিক বৈষম্য, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও জনসেবার ঘাটতি — এই সব ইস্যু নিয়ে দেদার সংঘর্ষে জর্জরিত হয় বহু দেশ। একনজরে দেখে নিন ২০২৫-এ কোন কোন দেশ সাক্ষী থাকল জেন-জি বিক্ষোভের।
অপরাধ দমনে ব্যর্থ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মেক্সিকো সিটিতে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের চারপাশের বেড়া ভেঙে ফেলে জেন-জি’রা। রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় দেশজুড়ে।
জেন-জি’দের প্রতিবাদের চাপে ২০২৫-এর অক্টোবরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। নিয়মিত জল-বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ থেকে শুরু হয়ে এই দেশের জেন-জি বিক্ষোভ সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: ২০২৫-এ ভারত ঘটে যাওয়া ১০ বড় ঘটনা, দেখে নিন একনজরে
‘জেন-জি ২১২’ নামের তরুণ সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাস্তায় নেমে আসে মরক্কোয়। স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় ব্যয় বাড়ানোর দাবি তুলে সরকারের বড় ক্রীড়া পরিকাঠামো বিনিয়োগের কড়া সমালোচনা করে।
২০২৫-এর শুরু থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা চললেও পেনশন সংস্কারকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পেরুতে তরুণ-তরুণীদের বিক্ষোভ তীব্র হয়। পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ও বিক্ষোভে পেরুর রাজধানী লিমা এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আগুন জ্বলে ওঠে নেপালের তরুণসমাজের মধ্যে। এর জেরে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সুশিলা কার্কি।
দুর্নীতির দায়ে অকেজো হয় ফিলিপিন্সের বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নামে তরুণরা। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পুরো দেশকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।
দেখুন আরও খবর:
