মস্কো: রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের বিমানহানা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল ক্রেমলিন। শান্তি ফেরাতে দু-দেশের মধ্যে আলোচনা (Russia-Ukraine peace talks) চলছে। তুরস্কে সর্বশেষ বৈঠকে রাশিয়া নমনীয় মনোভাবও দেখিয়েছে। যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) উত্তেজনা কমাতে ইউক্রেনের কিভ এবং চেরনিহিভ থেকে সৈনবহর কমানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে রাশিয়া। এমন অনকূল আবহে ইউক্রেনীয় সেনার কাছ থেকে বিমানহানা কাম্য ছিল না। এমনটাই অভিমত ক্রেমলিনের। এ দিনের ঘটনায় রাশিয়া সুর না চড়ালেও বুঝিয়ে দিয়েছে শান্তি বৈঠকে বাগড়া দেবে বেলগোরদের ঘটনা।
শুক্রবার সাতসকালে উত্তরপূর্ব ইউক্রেনের সীমান্ত লাগোয়া রাশিয়ার বেলগোরদে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনীর বিরুদ্ধে। বেলগোরদের গভর্নরের অভিযোগ, ইউক্রেনের দু’টি সামরিক বিমান থেকে তেল ডিপো লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। যার জেরে আগুন লাগে পেট্রলের ওই ডিপোয়। সূত্রের খবর, পরপর আটটি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়। কারও প্রাণহানি না হলেও ডিপোর দুই কর্মী জখম হন। ঘটনার পরেই ওই ডিপোর আশপাশ অঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভের প্রতিক্রিয়া, রাশিয়ায় ইউক্রেনের বিমানহানা ভবিষ্যতের শান্তি আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটাবে। এই ধরনের ঘটনা শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মতো অনুকূল আবহ তৈরি করে না।
আরও পড়ুন: Nitish Kumar: রাজ্যসভায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ নীতীশের, লক্ষ্য কি চেয়ারম্যান পদ?
এর আগে বুধবারও এই বেলগোরদে রাশিয়ার অস্ত্রগারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। অভিযোগ ওঠে, ইউক্রেনীয় সেনা রুশ অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছে। যদিও ক্রেমলিনের তরফে এ নিয়ে বিশদ কিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেনও মুখ খোলেনি। ইউক্রেনের খারকিভ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার বেলগোরদ শহরটি।
সূত্রের খবর, বেলগোরদ নিয়ে উত্তেজনার আঁচ কমাতে শুক্রবার তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেছিলেন দু-দেশের মধ্যস্থতাকারীরা। ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। তবে, আলোচনার বিশদ কিছু জানা যায়নি।