ওয়াশিংটন ডিসি: কোয়াড অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ, আবহাওয়া পরিবর্তন ইস্যু ছাড়াও অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। চার রাষ্ট্রনেতাই সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে জোর দিতে চেয়েছেন। কোয়াড নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে গোটা বিষয়টি উঠে এসেছে।
তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গিয়েছে। চীন, পাকিস্তান প্রকাশ্যে তালিবান সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে গোটা বিশ্বের। সে কারণেই কোয়াড সম্মেলনে আফগানিস্তান ইস্যুর উপর জোর দিয়েছেন মোদি-বাইডেনরা।
তালিবান প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তবে ‘সরকার’ গঠনের পর তালিবানের পরবর্তী কর্মকাণ্ডের জেরে সংশয় দেখা দিয়েছে, আদৌ জঙ্গিমুক্ত দেশ গঠনে তালিবান সক্রিয় হবে কি না?
আরও পড়ুন: সমগ্র বিশ্বের কল্যাণের জন্য কাজ করবে QUAD: মোদি
কোয়াডের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগান ভূখণ্ড কোনও দেশকে হুমকি বা আক্রমণ করার জন্য, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বা প্রশিক্ষণ দিতে অথবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বা অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সামলানো হবে।
যৌথ বিবৃতিতে কোয়াড নেতারা ঘোষণা করেছেন, আফগানিস্তানের প্রতি তাদের ‘কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকার নীতি’ ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২৫৯৩ অনুসারে সন্ত্রাস-বিরোধী ও মানবিক সহযোগিতা আরও গভীর করবে। দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের লালন-পালনের জন্য একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে কোয়াড।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে কোয়াড বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা উপস্থিত ছিলেন। এই চার দেশ নিয়েই ১৪ বছর আগে গঠিত হয়েছিল কোয়াড। করোনা আবহে তা ফের সক্রিয় হয়েছে। চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোয়াডের বৈঠক হচ্ছে। এর আগে গত মার্চ মাসে এই গোষ্ঠীর ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সফলতার দিকে এগিয়ে চলেছে QUAD: বাইডেন
কোয়াডের শুক্রবারের বৈঠকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সরকারি ঘোষণা অনুসারে, কোয়াডের বৈঠকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, ৫জি প্রযুক্তি, পরিকাঠামো উন্নয়ন, সরবরাহ ব্যবস্থা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার পড়ুয়াদের জন্য আমেরিকায় বিশেষ ব্যবস্থা করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।