আবু ধাবি: তিনি দেশে থাকলে নাকি রক্তের বন্যা বয়ে যেতো। এই কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আশরাফ ঘানি। দিন চারেক পরে তিনি জানালেন যে দেশে ফেরার বিষয়ে পরিকল্পনা করছেন তিনি। সুবিচারের লক্ষ্যে লড়াই করবেন তিনি।
আরও পড়ুন- ক্যান্সারের ভুল রিপোর্ট দিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের শাস্তির মুখে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক
প্রথমে শোনা গিয়েছিল তাজিকিস্তানে গিয়েছেন ঘানি। যদিও সেখানে তাঁর ঠাঁই হয়নি। পরে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওনা হন আফগান প্রেসিডেন্ট। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে বুধবার রাতের দিকে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে আফগানিস্তানে ফেরার বিষয়ে তিনি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুবিচারের জন্য তাঁর লড়াই জারি রয়েছে।
আরও পড়ুন- মেয়াদ শেষ রক্ষাকবচের, গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ
গত রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবান। ওই দিনেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ঘানি। পরে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বার্তা দিয়ে জানান, “রক্তের বন্যা রুখতে আমাকে দেশ ছাড়তে হল। আমি চরম প্রতিকূলতার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমি দুর্গে লুকিয়ে থাকলে তালিবানেরা কাবুলে হামলা করত। অনেক সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলত।”
আরও পড়ুন- কলকাতার কেউ আফগানিস্তানে আটকে নেই, নবান্নকে জানিয়ে দিল লালবাজার
একই সঙ্গে মহম্মদ আশরাফ ঘানি আরও বলেছিলেন, “আমি আফগানিস্তানে থাকলে অনেক জাতীয়তাবাদী মানুষ শহিদ হয়ে যেতেন। আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতো এবং বিধ্বস্ত হয়ে থাকতো। সেই রক্তের বন্যা দেখার থেকে আমার সরে যাওয়াকেই আমি শ্রেয় বলে মনে করলাম।” ঘানি দেশ ছাড়তেই নিজেকে আফগান প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেন আমরুল্লা সালেহ। তিনি ঘানির ডেপুটি ছিলেন। প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে ওই পদে তাঁরই বসার কথা। সংবিধান উল্লেখ করে ওই দাবি করেছিলেন সালেহ।