ইসলামাবাদ: আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশ এই ঘটনার বিরোধিতা করলেও চীন-পাকিস্তান সমর্থন জানিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালিবানদের সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ সহ একাধিক বিষয়ে প্রথমবার পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, “হাক্কানি আফগানিস্তানের একটি উপজাতি।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি নেটিজেন সহ বিশ্বের বিশিষ্টজনেরা ইমরানের বক্তব্যকে নস্যাৎ করেছেন। টুইটার-সহ একাধিক সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিংস ভাইরাল হতে শুরু করেছে।
Just heard PM @ImranKhanPTI on @CNN he said Haqqani is a tribe in Afghanistan. It’s not a tribe.All students of Darool Alum Haqqania Akora Khattak KPK are called Haqqani’s including Jalaluddin Haqqani who played important role in the defeat of Soviet Union in Afghanistan.
— Hamid Mir حامد میر (@HamidMirPAK) September 15, 2021
পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর সেই ভিডিও ক্লিপিংস নিজের টুইটার হ্যান্ডেল পোস্ট করে লেখেন, “সবে মাত্র শুনলাম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিএনএন’কে বলেন, হাক্কানি আফগানিস্তানের একটি উপজাতি। এটা কোন উপজাতি নয়। দারুল আলুম হাক্কানিয়া আকোরা খাত্তাক কেপিকে -র সকল ছাত্রদের বলা হয় হাক্কানি বলা হয়। জালালউদ্দিন হাক্কানিও তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
On a question regarding the Haqqani Network, PM Imran Khan tells CNN that "Haqqani is a Pashtun tribe." Which of course, it's not. pic.twitter.com/oZD8RTP5oi
— Naila Inayat (@nailainayat) September 15, 2021
যাইহোক, সিএনএন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান তালিবানদের সাহায্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় তালিবানদের “উৎসাহিত করা”। যাতে তালিবানরা নারীদের অধিকার মতো ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন-আইএসআইকে তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ১, তালিকায় রয়েছে ৭ ভারতীয় সেনা কর্মীও
ইমরান খান আরও বলেন, আফগানিস্তানে কোন পুতুল সরকার জনগণ দ্বারা সমর্থিত নয়। এটি জনগণ দ্বারা সমালোচিত হয়। তাই, আমরা তাদের(তালিবানদের) নিয়ন্ত্রণ করতে পারি” এই ভাবার পরিবর্তে, বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানকে উৎসাহিত করা। তালিবানদের আরও কিছু সময় দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসা উচিত।