ব্রাসেলস: তালিবান দখলে চলে যাওয়া আফগানিস্তানে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন যারা অন্য দেশের নাগরিক। সেই সকল মানুষকে নিজের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে তালিবানের সাহায্য চাইল উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো(NATO)।
গত কয়েক মাসের মধ্যে সমগ্র আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। আফগানিস্তানের বহু জায়গায় অনেক দেশের নাগরিক আটকে পড়েছিলেন। যাদের প্রায় সকলেই এখন কাবুলে এসে পৌঁছেছেন। তবে সবাই নিজের দেশে যাওয়ার বিমানে উঠতে পারেনি। সেই সকল ব্যক্তিরা যাতে নিজের ঘরে ফিরতে পারেন তার জন্য তালিবানের কাছেই সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যেতেই ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বহু মানুষ দেশান্তরিত হয়েছেন। অনেকের প্রাণ গিয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসরে নামে ন্যাটো। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব জেসন স্টলবারবার্গ শুক্রবার একটি বৈঠক ডাকেন। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন- কাবুলে আটক মার্কিনি ছাড়া অন্যদেরও বাড়ি ফেরাবে আমেরিকা
ইতিমধ্যেই ভারত সরকার আফগানিস্তান থেকে বহু মানুষকে দেশে ফেরাতে সফল হয়েছেন। যদিও এখনও অনেকেই রয়ে গিয়েছেন কাবুলিওয়ালার দেশে। মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমানে চড়ে অনেকেই আফগানিস্তান ছেড়েছেন। মার্কিনি ছাড়াও অন্য সকল দেশে বন্ধুদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আতঙ্কিত আফগানদেরকেও নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সেই কাজ সুস্থ উপায়ে সম্পন্ন করতে তালিবানের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ন্যাটো-র বৈঠকে।
ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ১৯৪৯ সালে ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর সদর দফতর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য দেশের সংখ্যা ৩০। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য।