ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে (Pakistan) সরকার ফেলার চক্রান্তে আমেরিকাও লিপ্ত বলে বৃহস্পতিবারই বোমা ফাটিয়েছিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। সরাসরি আমেরিকার নাম না-বললেও ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ (Foreign Conspiracy) বলতে তিনি যে আমেরিকাকেই সন্দেহের কাঠগড়ায় তুলেছেন, তা বুঝে নিতে কারও অসুবিধা হয়নি। মার্কিন বিদেশ দফতর বৃহস্পতিবারই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছিল। তার পরেও ফের মার্কিন কূটনীতিককে সমন পাঠিয়ে সতর্ক করা হল।
বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে বোমা ফাটান ইমরান খান। তার আগেই অবশ্য তিনি ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’-র ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। পিটিআই চেয়ারম্যান দাবি করেন, তাঁর কাছে বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ রয়েছে। বিদেশি শক্তি সরকার ফেলতে চাইছে। সেই বিদেশি শক্তি কে, তা নিয়ে স্বভাবতই কৌতূহল তৈরি হয়। বুধবারই তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পরে সিদ্ধান্ত বদলে বৃহস্পতিবার ভাষণ দেন। যদিও বিরোধীদের কটাক্ষ, পার্লামেন্টে আনা অনাস্থায় হার নিশ্চিত। তাই সাহানুভূতি আদায়ে নাটক করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ইমরানের বক্তব্যের নির্যাস ছিল, ‘বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাকে সরানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে৷’ একটি অফিসিয়াল ডকুমেন্টও তিনি দেখান৷ তাতে লেখা, ‘আস্থা ভোটে ইমরান খান হেরে গেলে পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে৷ কিন্তু ইমরান খান টিকে গেলে ভুগতে হবে৷’ ইমরানের বক্তব্যে পরিষ্কার, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে আমেরিকা৷ তাতে শামিল আসিফ আলি জারদারি, নওয়াজ শরিফ এবং শাহবাজ শরিফ৷
তবে, যে চক্রান্তই চলুক, রবিবার ভোটাভুটির ফল যা-ই হোক, তিনি যে সহজে ময়দান ছাড়বেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন। পিটিআই চেয়ারম্যানের কথায়, ‘যাঁরা আমার সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন, তাঁরা আমায় চেনেন৷ আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব৷ ময়দান ছেড়ে যাব না৷ রবিবারই বোঝা যাবে পাকিস্তানের শত্রু, মিত্রদের। দেশ গদ্দারদের ক্ষমা করবে না৷ ওই দিনই গদ্দারদের সবাই চিনে যাবে৷’
পাক মিডিয়া সূত্রে খবর, ইমরানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে মার্কিন কূটনীতিককে সমন পাঠানো হয়েছিল। হুমকি চিঠির উল্লেখ করে মার্কিন কূটনীতিককে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সংকেত পেয়েই মার্কিন কূটনীতিককে তলব করা হয়েছিল। শুধু মৌখিক অভিযোগ নয়, একটি প্রতিবাদপত্রও দেওয়া হয়েছে।