কলকাতা টিভি ডিজিটাল: খাবার অপচয় (Food Waste) এক ধরনের বদভ্যাস। পৃথিবীতে রোজ কত যে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয় তার ইয়ত্তা নেই। নৈতিক দিক থেকে যেমন খারাপ, তেমন পরিবেশের জন্যও খাবার অপচয় ক্ষতিকারক। খাবারের বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস নির্গত হয় যা পৃথিবীর জলবায়ুকে (Climate) গরম করে দেয়। এমন ক্ষতিকারক গ্যাসের অন্তত ১০ শতাংশ নির্গত হয় খাদ্যবর্জ্য থেকেই। রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations) জানিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৯৩১ মিলিয়ন টন খাবার অপচয় হয়। তারা এও জানিয়েছে, এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির কোনও সুরাহা হচ্ছে না।
অপচয় হওয়া খাদ্য একজায়গায় নিয়ে তা প্রসেস করলে তা সার (Fertilizer) হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাতে পরিবেশের লাভ। কেউ কেউ আছেন যাঁরা দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করেন। কিন্তু এমন মানুষের সংখ্যা নগণ্য। মিশরে (Egypt) চলতি সিওপি২৭ (COP27) ক্লাইমেট সামিটে (Climate Summit) এই বিষয়টাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ সালে সমস্ত দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্যবর্জ্য অর্ধেকে নামিয়ে আনার শপথ নিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগ দেশই শপথ পালন করতে পারছে না, পিছিয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: Donald Trump: ২০২৪ সালে ফের ভোটে লড়বেন, জানিয়ে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
রাষ্ট্রপুঞ্জের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের খাদ্য অপচয় ও বর্জ্য বিভাগের প্রধান রোসা রোল বলছেন, আর আট বছর বাকি আছে অথচ অভীষ্ট লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারিনি আমরা। খাদ্য অপচয়ে শীর্ষে থাকা পাঁচটি দেশের মধ্যে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ২০১৫ থেকে খাদ্য অপচয় উল্টে বেড়ে গেছে। এই তথ্যে দেশগুলির সরকার নাক গলায়নি। বাকি দুই দেশ আয়ারল্যান্ড এবং কানাডা থেকে বিশ্বস্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, খাদ্য অপচয়ের সমস্যা শুধুমাত্র ধনী দেশগুলোতেই আছে এমন নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের গত বছরের সমীক্ষায় প্রকাশ, কোনও দেশের জিডিপি-র সঙ্গে সেখানকার মানুষের খাবার নষ্ট করার প্রায় কোনও সম্পর্কই নেই। আমেরিকার অবস্থা সবথেকে শোচনীয়। প্রতিদিন একজন আমেরিকান গড়ে ৭০০ ক্যালোরির খাবার অপচয় করে যা মানবদেহে প্রয়োজনীয় দৈনিক ক্যালোরির তিন ভাগের এক ভাগ।