আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আমেরিকান পপ গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের টাকা পয়সার হিসেব প্রায় ১৩ বছর ধরে তাঁর বাবা জিমিই রাখতেন। এমনিতেই এই মার্কিন পপ তারকার জীবন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এ বার বাবার খপ্পর থেকে মুক্তি পেতে বিচারকের দ্বারস্থ হলেন ৷ তিনি জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ‘অপমানজনক’ জীবন থেকে তিনি মুক্তি পেতে চান। কী হয়েছিল পপতারকার জীবনে!
২০০৮ সালে আদালতের এক রায়ে ব্রিটনির বাবা জেমিকে সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জিমিকে। অবসাদের কারণে সে সময় ব্রিটনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।এ বার বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়ে এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চাইলেন ব্রিটনি। ব্রিটনি মনে করেন, তাঁর কাছে এটা দাসত্বের সমান। তাই তিনি তাঁর এই অপমানের গ্লানি শেষ করতে চান। এই প্রথম ব্রিটনি খোলা আদালতে তাঁর বাবা এবং অন্য নিয়ন্ত্রণকারীদের সম্পর্কে নিন্দা করলেন। তিনি জানান, তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খেতে বাধ্য করেন তাঁরা। এমনকী প্রেমিকের সঙ্গে তাঁকে লং ড্রাইভে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। বিয়ের ব্যাপারেও তাঁরা বাধা দিচ্ছেন। লস এঞ্জেলসের আদালতের বিচারককে ব্রিটনি জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দিনের পর দিন তাঁকে কাঁদতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’। তিনি আরও জানান, এই কনজারভেটরশিপ ভালোর থেকে খারাপ বেশি করেছে। তিনি দাবি করেন, ‘আমারও স্বাভাবিক জীবন কাটানোর অধিকার আছে’। তিনি জানান, তাঁর বাবা তাঁর উপর অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ করে জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন।
ব্রিটনির প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জাস্টিন টিম্বারলেক আরও অনেকের মতো ব্রিটনিকে সমর্থন জানিয়েছেন। জাস্টিন টুইটে লিখেছেন, ‘ওর সঙ্গে যা হচ্ছে তা হতাশাজনক! কোনও নারী তার শরীর নিয়ে কী করবে সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ বলে দিতে পারে না।’
১৩ বছর আগে ব্রিটনির বাবাকে আদালত যে ক্ষমতা দিয়েছে তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কোনও রায় দেওয়া হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ‘ফ্রি ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া।