জেরুজালেম: প্রবীন ইজরায়েলি নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) চলতি সপ্তাহেই সেদেশের সংসদে (Parliament) তাঁর নতুন সরকার উত্থাপন করতে চলেছেন। সোমবার এই কথা জানানো হয়েছে। গত ১ নভেম্বর নেতানিয়াহু সেদেশে সরকার গড়ার মতো সমর্থন (Support) পেয়েছেন। তাঁর পাশে রয়েছেন ইজরায়েলের গোঁড়া ইহুদি পার্টি এবং কট্টর-দক্ষিণপন্থীরাও। ৭৩ বছরের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নেতানিয়াহু পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ইজরায়েলের (Prime Minister of Israel)।
সেদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়ারিভ লেভিন (Yariv Levin) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নেসেট (Knesset)-এর এক বিশেষ অধিবেশনে (Special Session) সরকার গড়ার জন্য ভোটাভুটি হবে। মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি একটি নতুন সরকার গড়েছেন। তিনি ক্ষমতায় ফিরছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ইজরায়েলের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বাধিক দক্ষিণপন্থী জোট (Right-Wing Coalition) হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: Gandhi Family: ভারতের রাজনীতিতে সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হল গান্ধী পরিবার
ইজরায়েলের আগামী প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভা গড়ে ফেললেও, এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদমাধ্যমে কোনও কিছু জানানো হয়নি। নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টি সেদেশের চরমপন্থী গোঁড়া পার্টি এবং কট্টরপন্থীদের সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ছে। জোট সরকারে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী (National Security Minister) হিসেবে জায়গা পেতে চলেছেন ইতামার বেন গিভির (Itamar Ben Gvir) এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন বেজালেল স্মোত্রিচ (Bezalel Smotrich)। আরয়েহ দেরি (Aryeh Deri)-কেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রস্তাব দিয়েছেন, যদিও তিনি অতীতে কর সংক্রান্ত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি ক্যাবিনেট সদস্য (Cabinet Member) হতে পারবেন না। শোনা যাচ্ছে, সেই বাধা দূর করার জন্য ইজরায়েলের আইনসভা (Legislative of Israel) আইন পাস করতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে নেতানিয়াহু প্রথম দফায় ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বারো বছর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেতানিয়াহু সরকার ক্ষমতায় আসতে চলার কারণে ইজরায়েল অধিকৃত প্যানেস্তানীয় ভূখণ্ড (Israel-Occupied Palestine Territory) আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।