আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় কম বেশি সবাই সর্দি, কাশি কিংবা ফ্লুয়ের কবলে পড়েন। তবে এটা বার বার হলেই বিপদ। তার মানে দিন দিন শক্তি হারাচ্ছে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এ ক্ষেত্রে যেমন শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজন তেমনি আবার নিত্যদিনের বেশ কিছু অভ্যেসও পাল্টে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন-
শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। তাই বলে তা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তা হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল পান শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি করতে পারে।
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম যে কতটা জরুরি তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘুমের অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তি হারায়। ঘুমের অভাবে মিষ্টি ও ফাস্ট ফুড খাবারের প্রতি আশক্তি বাড়ে। ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হয় শরীরের পাচনপক্রিয়া। আর শুধু শারীরিক না দীর্ঘদিনের ঘুমের ঘাটতি উদ্বেগ ও মানসিক চাপের কারণ হয়েও উঠতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অ্যালকোহল খুব দ্রুত শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। আর এই ডিহাইড্রেশনের প্রভাব পড়ে শরীরের বেশ কিছু ক্রিয়া প্রক্রিয়ায়।
নিয়মিত হাত ধোওয়ার অভ্যেস নেই অনেকেরই। যদিও কোভিডকালে এই অভ্যেসের খানিকটা বদল হয়েছিল ঠিকই তবে করোনার আতঙ্ক করতেই আবার হাত ধোওয়া নিয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন অনেকেই। এদিকে এরকম অনেক জীবাণু রয়েছে যা হাতের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই শৌচ কার্যের পর যেমন প্রত্যেকবার সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া উচিত। তেমনই বাড়ির ভেতর কিংবা বাড়ির বাইরে খাবার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন।
খিদের চোটে কিংবা পছন্দের খাবার সামনে পেলেই মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে এই ভাবে পেট পুরে খাবার খাওয়া চলবে না। শরীর সুস্থ রাখতে যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। তেমনি মাত্রা পুষ্টিকর খাবারও মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হলে তা শরীরের জন্য অপকারী।
মদ্যপানের মতো ধুমপানও শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। তবে শুধু এটাই নয় ধুমপানের কারণে ফুসফুসের একাধিক সমস্যা হতে পারে।
তাই সুস্থ থাকতে হলে এই সব বদভ্যেস অবিলম্বে ছাড়া প্রয়োজন। যদিও রাতারাতি অভ্যেস পাল্টে ফেলা সম্ভব না ঠিকই তবে সুস্থ থাকতে চাইলে এই কাজে গড়িমসি করলে চলবে না।