নয়াদিল্লি: বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণের আগে ওমিক্রন নিয়ে ফের একবার সতর্ক করে দিলেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। ভাইরোলজিস্টরা আগেই সতর্ক করে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের ধারণা, ওমিক্রনের হাত ধরেই ভারতে কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ আসতে চলেছে ফেব্রুয়ারি নাগাদ। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ডিরেক্টরও জানালেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকে হাল্কা ভাবে নিলে ভুল হবে।
চোখের সামনে ব্রিটেনে যে ভাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে খুব একটা শান্তিতে থাকার উপায় নেই বলেই মনে করেন গুলেরিয়া। ব্রিটেনে ওমিক্রনের দৈনিক সংক্রমণ ১০০০ পার করেছে। সেই তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই বলা যায়। সবমিলিয়ে গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই। তা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ওমিক্রনের থাবা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। কেন্দ্র সতর্কও করে দিয়েছে।
দ্বিতীয় ওয়েভে বিশ্বজুড়ে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রাণঘাতী হয়ে উঠলেও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা হবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ওমিক্রনের বলি একজনই। তিনি ব্রিটেনের নাগরিক। আক্রান্তদের উপসর্গও সামান্য। কিন্তু তার পরেও স্বস্তিতে নেই বিশেষজ্ঞরা। কারণ, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজিত হয়েছে। ডেল্টার থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন।
২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের। পোশাকি নাম বি১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্ট। এই মুহূর্তে বিশ্বের ৯০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কিন্তু ওমিক্রনম ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। হু-র ধারণা, এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন সংক্রমণের যে ছবি সামনে এসেছে, তা বাস্তব চিত্র নয়। প্রকৃত আক্রান্ত আরও বেশি।
আরও পড়ুন- Omicron: ডেল্টার থেকেও দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, তথ্য দিয়ে দাবি কেন্দ্রের
এইমসের ডিরেক্টর সতর্ক করে বলেন, ‘ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখা উচিত।’ রণদীপ গুলেরিয়ার ধারণা, সামনের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এইমস প্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে ওমিক্রন। এমনকী অ্যান্টিবডিকেও ধোকা দিতে পারে। তাই এই ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ থামাতে খুব দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি। মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও অনীহা বিপদ ডেকে আনতে পারে।