হেলদি ব্রেকফাস্ট মানেই হয় একবাটি মুইসলি আর না হলে ওটস। সঙ্গে দুধ, ইয়গহার্ট ও পছন্দের ফলমূল। গড়পড়তা অধিকাংশ গেরস্থলির ব্রেকফাস্ট টেবিলের চেনা ছবি। কম সময়ে, সুস্বাদু আর পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এদের বিকল্প নেই বললেই চলে। কারও ওটস পছন্দ কারও আবার মুইসলি। পুষ্টির নিরিখে দু’টোই সমান বলে অনেকে আবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান। বাকি সব ঠিকই আছে তবে পুষ্টির নিরিখে মুইসলি আর ওটস কিন্তু মোটেও এক নয়। দুটো খাবারের মধ্যেও একটি ছোট্ট পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত মুইসলি হল বিভিন্ন খাদ্যশস্যের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ যেমন ওটস, ড্রাই ফ্রুটস, হুইট ফ্লেকস ও বাদাম মিশিয়ে তৈরি করা হয়। অন্যদিকে ওটস গ্রাসের বিজ থেকে উত্পন্ন শস্য হল ওটস। তাই মুইসলি আর ওটস যেমন দেখতে আলাদা, স্বাদে আলাদা তেমনি পুষ্টির নিরিখেও এই দুটো খাবারের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেগুলি কী কী জেনে নিন-
দেখে নিন এক বাটি মুইসলির নিউট্রিশন্যাল ভ্যালু
আর এক বাটি ওটসে রয়েছে
তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য ওটস একদম পারফেক্ট।
মুইসলির উপকারিতা
অন্যান্য ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালের তুলনায় মুইসলিতে চিনি ও ক্যালোরি যথেষ্ট কম। পাশাপাশি ফাইবার বেশি থাকায় এটা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং ওজনও কমাতে সাহায্য করে।
ওটসের উপকারিতা
ওটসে ক্যালোরি পরিমাণে অনেকটাই কম থাকে। বরং ফাইবার থাকে অনেক বেশি এর ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে ওটস ভীষণ কার্যকরী। ওটসে সোলিউবেল এবং ইনসোলিউববেল, দুধরনের ফাইবার-ই রয়েছে। এগুলি কোলেস্টেরোল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবারের পাশাপাশি ওটসে রয়েছে অন্যন্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন থিয়ামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফোরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও আয়রন।
এদের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বেশি উরকারী
মুইসলি তে বাড়তি চিনি, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ক্যালোরি সবই থাকে। যদিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বাদাম, ড্রাই ফ্রুট, ও ওটসের মতো শস্যও এতে রয়েছে। কিন্তু এগুলি সবই তেলে স্যাঁকা হয়। এর ফলে প্রত্যেকটি উপকরণে ট্র্যান্স ফ্যাট ও চিনির মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। অন্যদিকে ওটসে এ ধরনের কিছুই থাকে না ফলে স্বাস্থ্যের নিরিখে বিচার করতে হলে সকালের খাবারে মুইসলির তুলনায় ওটস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে অনেকেই স্বাদের কারণে ওটসের বদলে মুইসলি বেছে নেন।
আমাদের স্বাস্থ্য কেমন থাকবে তা অনেকটাই নির্ভরশীল আমাদের ফুড চয়েসের ওপর। সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী কোনটা বেশি প্রয়োজনীয় তা বেছে নিতে হবে আপনাকেই।