নতুন বছরে শীতও যেন নতুন রূপে। না, জাঁকিয়ে পড়নি ঠিকই। তবে কুয়াশাছন্ন সকালের উত্তুরে হাওয়ায়, মাথা থেকে পা না ঢেকে বাড়ি থেকে বেরনোর উপায় নেই। বেলা বাড়লেও সূর্য আজকে ম্রিয়মান। আর এই আবহাওয়ায় শরীরের দেখা দেয় ভিটামিন ডি-য়ের অভাব। ফলে এনার্জির অভাব তো বটেই পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতিও দেখা দেয় শরীরে। আর এটা পুরুষদের তুলনায় বেশি প্রভাব ফেলে মহিলাদের শরীরে। পুরুষ-মহিলাদের ‘বায়োলজিক্যাল ডিফারেন্সের’(biological differences between male and female) কারণে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তাও ভিন্ন। যেটা অধিকাংশ সময়ই একাধিক কারণে পূরণ হয় না মত বিশেষজ্ঞদের। আর এর প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে। তাই এই শীতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত শুধু ঢাকলেই চলবে না। বরং শরীরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। যেমন-
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। তাই শীতে যাতে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতির ফলে
ত্বকের এরকম সমস্যা দেখা দেয়-
অস্টিওপোরোসিস ও ফ্রাকচারের সম্ভাবনা মহিলাদের মধ্যে বেড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তা কিছু সময়ে প্রাণঘাতিও হতে পারে।
গাট বা গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল ট্র্যাক্টে থাকা মাইক্রোঅর্গ্যানিজামদের সুস্থ রাখে। গাট হেলথ ভাল তাকলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে মহিলাদের ঝতুচক্রেও।
তা ছাড়া মহিলাদের মধ্যে হাড় শক্ত করা বা বোন ডেনসিটি বাড়াতে ভিটামিন ডি খুবই কার্যকর্রী। এর ফরলে শরীরের একাধিক ইনফ্লেমেশন ও অন্যান্য সংক্রমণ সহজে তৈরি হয় না।
খাবারের মাধ্যমে কীভাবে মেটাবেন ঘাটতি
ভিটামিন সব থেকে ভাল সোর্স হল সূর্যের রশ্মি। কিন্তু শীতলকালে যাদের রোদ পোয়ানর সময় নেই কিংবা যাঁদের এই ভিটামিনের ঘাটতি আছে। তাঁরা মাশরুম, ফর্টিফায়েড সিরিয়ালস, ফর্টিফায়ড আমন্ড মিল্ক,
ফর্টিফায়ড রাইস মিল্ক খেতে পারেন, এটা হল ভেগান দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে আপনি যদি ভেগান হন তা হলে গরুর দুধ, চিজ মার্জারিন ও ফল খেতে পারেন। বড় মাছ যেমন স্যামন, টুনা ও সারডিন খেতে পারেব।