দিনের বেলায় সূর্যের তেজ কড়া থাকলেও রাতের দিকের থাকছে এক শিরশিরে ভাব। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন জানান দিচ্ছে খুব শীঘ্রই শীত আসছে। আজকাল সকালে উঠেই কেমন একটা অলস ভাব যেন ঘিরে ধরে। পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করে না। এই সময়টা বেশ যেমন উপভোগ করার তেমন আবার আবহাওয়া পরিবর্তন মানেই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। তাই এই হাওয়া বদল মানিয়ে নিতে নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন। শরীর সুস্থ ও সারক্ষণ চাঙ্গা রাখতে সকালে উঠে এই যোগাসনগুলো করতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ ও সারাদিন চনমনে থাকবে। যেমন-
ভুজঙ্গাসন (cobra stretch yoga)
এই যোগাসন করার জন্য পেটে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দু’টো হাত ও পা জোড়া সোজা রাখুন। এবার জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে মেঝে থেকে বুক উপরের দিকে তুলুন। মাথায় রাখবেন নাভি যেন মাটির সঙ্গে লেগে থাকে। এই আসনের একাধিক লাভ আছে। ভুজঙ্গাসন বুক, কাঁধ ও পেটের অংশের মাংসপেশিকে স্ট্রেচ করে। এই টানের ফলে শরীরের এই সব জায়গায় যে জড়তা থাকে তা কেটে যায়। শীতে এলে অনেকেই কোমড়, পীঠে ব্যাথা কিংবা কাঁধ ও বাহুতে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। এই ব্যাথা কমাতে ভুজঙ্গাসন বেশ কার্য়করী। শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ানোর পাশাপাশি মন, মস্তিষ্ক ও হার্ট ভাল রাখে। কাঁধ ও হাতের জোর বাড়ায়।
নৌকাসন (boat pose yoga)
প্রথমে চিত হয়ে শুতে হবে এবার দেহ বরাবর হাত ও পা একেবারে সোজা রাখুন। এবার হাঁটু না মুড়ে আসতে আসতে পা উপরে তুলুন। এবার আসতে আসতে কোমড়ের ওপরের অংশটাও ওপরে তুলুন। আর নিতম্ব মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে রাখুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এই যোগাসন দারুন কাজ করে এবং পেটের মাংশপেশিকে আরও শক্তপোক্ত করে। এই যোগাসনের ফলে হাতে পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে। হজমসংক্রান্ত সমস্যায় ভীষণ কাজের এটা। এর পাশাপাশি পীঠ টানটান করে ও রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। এখানেই শেষ নয়, প্যানক্রিয়াস, কিডনি ও লিভারের উদ্দীপিত(stimulate) করে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
মার্জারাসন (cat stretch yoga)
প্রথমে বিড়ালের মতো করে বসুন। এবার মাথা ওপরের দিকে তুলুন। এবার চেষ্টা টানটান করুন। এবার মাথা নীচু করে আসতে আসতে শুধু পীঠের অংশটা উপরে তুলুন। কয়েক মিনিট এই অবস্থায় থেকে নর্মাল পোজিশনে ফিরে আসুন। এই যোগাসান শিরদাড়ার জন্য খুবই উপকারী। এটা শিরদাড়া টানটান করে, শক্তি ও নমনীয়তা বাড়ায়। পাশাপাশি কব্জি ও কাঁধ আরও শক্তপোক্ত করে। এই যোগাসনের কারণে শরীরের যে মুভমেন্ট হয় তা পাচনতন্ত্রকে মাসাজের কাজ করে এবং সক্রিয় করে তোলে।