জুলাই হল ‘ফাইব্রয়েড অ্যাওয়ারনেস মান্থ’। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই সমস্যা খুবই কমন প্রায় ২০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রজননক্ষম বয়সের মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। ফাইব্রয়েড হল এক ধরনের টিউমার, যা জরায়ুর মসৃণ পেশি কোষ থেকে তৈরি হয়। জরায়ুর গায়ে এই গ্রোথ যদিও ক্যানসারাস নয়।
তাহলে এই ফাইব্রয়েড চিন্তার কারণ কেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অধিকাংশ সময় এই রোগের লক্ষণ তেমন ভাবে ধরা পড়ে না। এই সমস্যায় আক্রান্ত অনেকেই বুঝতেই পারেন না যে তাঁদের ইউটেরিন ফাইব্রয়েড হয়েছ। তবে এই রোগ নিয়ে অবহেলা করলে গর্ভাবস্থা এবং প্রসবে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এমনকি কয়েকজনের ক্ষেত্রে এই ইউটেরিন ফাইব্রয়েড বন্ধ্যাত্বের কারণও হয়ে উঠতে পারে। আর তাই এই কারণেই এই ফাইব্রয়েড নিয়ে এই সচেতনতা অভিযান।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েড প্রথমে দিকে বোঝা না গেলেও হাতে গোনা কয়েক জনের মধ্যে এর লক্ষণ বেশ প্রকট হয়। এক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও সেখান থেকে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়।
ফাইব্রয়েড মোকাবিলায় আয়ুর্বেদের
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী শরীরে তিনটি দোষ বাত, পিত্ত ও কফ শরীরের যাবতীয় রাসায়নিক ক্রিয়া ও প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই তিনটির মধ্যে কফের ভারসাম্য নষ্ট হলে দেখা যায় ফাইব্রয়েড। এর মোকাবিলা করতে ও শরীরে কফের ভারসাম্য বজায় রাখতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই উপাদনগুলি রাখলে উপকার হবে মত আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞদের। যেমন-
শতাভরি বা অ্যাসপ্যারাগাস
ইউটেরিন ফাইব্রয়েডে ঋতুস্রাবের ব্যথা ও রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এই সময় অ্যাসপ্যারাগাস খেলে রক্তক্ষরণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। একইসঙ্গে শরীরে পিত্ত দোষের ভারসাম্য বজায় থাকে।
কাঞ্চনারা বা মাউনটেন এবনি
কাঞ্চনারা কিংবা রক্ত কাঞ্চন যার ইংরেজি নাম হল মাউনটেন এবনি। এই ভেষজ উদ্ভিদ অন্যান্য ভেষজ গাছের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে টিউমারের আকার ছোট হয়ে যায়। এটা শরীরে কফের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে।
হলুদ
হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এটা ফাইব্রয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদের বিশেষ ঔষধি রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে ঋতুস্রাবের সময় ফাইব্রয়েডের কারণে যে ব্যথা হয় তা কম করে। একটিতে অশোক গাছের ছাল ও অন্যটিতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়।
ফাইব্রয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঋতুস্রাবের সময় এই কাজগুলো করবেন না
পিরিয়ড চলাকালিন অনেকের গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা হয়। তাই শরীর চনমনে রাখতে অনেকেই বডি মাসাজ করান। ফাইব্রয়েডের সমস্যায় এটা ভুলেও করবেন না।
পিরিয়ডের সময় চা বা কফির বদলে দুধে হলুদ মিশিয়ে খান কিংবা গ্রিন টি খেতে পারেন।
ফাইবার যুক্ত খাবার খান এবং ভুজঙ্গাসন, পশ্চিমোত্তাসন ও বধা কোনাসান করতে পারেুন।