আধুনিক জীবনযাপনে কাজের ব্যস্ততায় সময় মতো খাবার খাওয়া হয় না অনেকের। এদিকে দীর্ঘদিনের এই অনিয়ম এখন অভ্যেসে পরিণত হয়েছে অধিকাংশের। আপনিও যদি এই দলের একজন হন তা হলে যত শীঘ্র সম্ভব এই অভ্যেস বদলে ফেলুন। না হলে শরীরের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেন। কারণ, দেরি করে খাবার খাওয়ার অভ্যেস মানেই একাধিক শারীরিক সমস্যা, কী কী জানুন-
অ্যাসিডিটির সমস্যা (Acidity)
এক দু’দিনের অনিয়ম তাও একরকম, যদিও তাতেও সমস্যা হয়। তবে এই অভ্যেস যদি দীর্ঘদিনের হয়ে ওঠে তখন অ্যাসিডিটির মত সমস্যা দেখা যায়। শুরু হল গলা জ্বালা কিংবা বুক জ্বালার মতো সমস্যা।
মেটাবলিজমের গতি স্লথ হয়ে পড়ে (Slow Metabolism)
দেরি করে খাবার খাওয়ার ফলে আপনার মেটাবলিজম কমে যায়। এর ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে আরও বেশি। সময় থাকতে এই অভ্যেস বদল করত না পারলে স্থূলতার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে ডায়বিটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ আরও একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
মাথা যন্ত্রণা (Severe Headache)
খিদে দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখলে মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানেই শেষ নয় সময় মতো খাবার না খেলে কাজে ঠিক মতো মন বসে না। কাজে একাগ্রতার অভাব দেখা দিতে পারে। কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনি কি ইমোশনাল ইটার?
সক্রিয়তার অভাব (Lack of energy)
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে শক্তি জোগায়। তাই শরীরের যখন পুষ্টি ও শক্তির প্রয়োজন তখন তা না পেলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের শক্তি ক্ষয় হয় এবং শরীর সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে। আলস্য ঘিরে ধরে।
খিটেখিটে মেজাজ (Mood swings & Irritation)
সময় মতো খাবার না খেলে তার প্রভাব পরে মুডের ওপর। অকারণেই মেজাজ খারাপ হয়ে মানুষ খিটখিটে হয়ে পড়ে।
এছাড়া সময় মতো খাবার না খেলে হজমের সমস্যা দেখা যায়। দিনের প্রধান আহারগুলির যে কোনও একটির খাওয়া নিয়ে বেনিয়ম হলেই তার প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। পর পর বাদ বাদি খাবারগুলো খেতে দেরি হয় যায়। যেমন সকালে ব্রেকফাস্ট দেরিতে করলে দুপুরের খাবার খেতে আরও দেরি হয়। এর ফলে রাতের খাবার খেতেও দেরি হয়ে যায়। এর থেকে পেটে জ্বালা, গ্যাস অনিদ্রা ও ব্লোটিংয়ের মতো একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।