শীতকালে এত রকমের মরশুমি ফল, শাক সবজি পাওয়া যায় যে কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন সেটা ঠিক করাই কঠিন হয়ে যায়। তবে এত কিছুর মধ্যে মুলো খেতে ভুলবেন না যেন। যদিও মুলোর গন্ধ ও ঝাঁঝালো স্বাদে অনেকেই মুলো খেতে পছন্দ করেন না। বিশেষ করে বাচ্চাদের মুলো খাওয়ানো বেশ ঝামেলার কাজ। তবে কাঁচা মুলো খেতে যেমনই হোক না কেন মুলো দিয়ে যে সব পদ তৈরি হয় সেগুলোর কিন্তু স্বাদ একেবারে অন্যরকম। তাই এই শীতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন মুলো। মুলোর যে এত রকম উপকারিতা রয়েছে যে তা জানতে পারলে অবাক হবেন অনেকেই। যেমন-
অ্যান্টি ক্যানসার কার্যকারিতা
মুলো এমন একটা সবজি যা নিয়মিত খেলে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সম্ভাবনা কম করা যায়। এতে আইসোথিওসায়ানেট নামক একটি উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার সৃষ্টিকারি ফ্রি রেডিকেলসগুলোকে শরীরে থাকতে দেয় না।
ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
মুলোর অ্যান্টি ডায়বেটিক উপকারিতা রয়েছে। এর ফলে মুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। এর ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজম ক্ষমতা বজায় রাখে
মুলোতে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার পাওয়া যায়। আর এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সহ পেটের একাধিক সমস্যার সমাধান করে। এটা নিয়মিত খেলে পাচনতন্ত্র ভাল থাকে।
আরও পড়ুন: শীতকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস না রাখলেই নয়
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে
মুলোতে ভাল পরিমাণে পোটাশিয়াম থাকে। তাই এটা খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সম্ভাবনাও কমে যায়।
বডি ডিটক্স
কিডনির স্বাস্থ্যের জন্যেও মুলো খাওয়া খুব ভাল। মুলো খেলে বডি ডিটক্স হয়। এর ফলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বার করার যে কাজটা কিডনি করে সেটা অনেক সহজ হয়ে যায়। ন্যাচারাল ক্লেনজার হিসেবে মুলো খুব ভাল কাজ করে। একই ভাবে পেট ও লিভারের জন্যেও মুলো খাওয়া ভাল।
তাই সপ্তাহান্তে সুস্বাদু মুলোর পরোটা বানিয়ে বাড়ির সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন।