কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : লেখাপড়া আর আড্ডায় কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের সাথে প্রায় সমস্ত মানুষের এক ‘অলিখিত’ সম্পর্ক। বাঙালির রন্ধ্রে বইয়ের গন্ধ, আর তার খনি- যা ফরাসি ভাসার “মাইন ডি লিভর” হচ্ছে আমাদের কলেজ স্ট্রিট বই পাড়া।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘সেকেন্ড-হ্যান্ড’ বইয়ের বাজার এবং ভারতের বৃহত্তম বইয়ের বাজার হ’ল এটি। উত্তর- মধ্য কলকাতার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বইপাড়া বউবাজার অঞ্চলের গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ’র মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি রাস্তার দুধারে প্রসারিত।
আরও পড়ুন- তুমি আছো বলে মন কষাকষি…
কলেজ স্ট্রিটের বই পাড়ার সঙ্গে বোধহয় সব সময় যুক্ত থাকবে বাঙালির সাংস্কৃতিক চেতনা বোধের উন্মেষের ইতিহাস। চির অনুসন্ধিৎসু বাঙালির মনের বীজ বপণ করেছে এই বইপাড়া।আর আজ সেই গোটা বইপাড়া জুড়ে যেন হাহাকার। দিশা খুঁজে পাচ্ছে না গোটা কলেজস্ট্রিট। তবে শুধু প্রকাশনা সংস্থা গুলি নয় ক্ষতির মুখে কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের দোকানগুলিও। বইগুলি কী আদৌও বিক্রি হবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় বই বিক্রেতারা।
লকডাউনে কার্যত ছন্দপতন ঘটেছে কলেজ স্ট্রিটে। আগামী দিনে বই পাড়া লকডাউন কাটিয়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেটাই এখন প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘খোয়াবনামা’। খোয়াবনামা প্রকাশনার উদ্যোগে ১২-১৫ অগস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বই অধীনতা দিবস ‘। একই ছাতার নীচে থাকছে ২০ টিরও বেশি প্রকাশনা সংস্থার বই। এক কথায় বই বাজার বললেও মন্দ হয় না।
আরও পড়ুন- ব্রোঞ্জ জিতলেন বজরং পুনিয়া, ষষ্ঠ পদক এল ভারতের
বার্তা একটাই ‘কেবল বইয়ের অধীনে থাকুন’। বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রিটে খোয়াবনামা-র সামনেই বসছে এই বই বাজার। দুপুর ২:০০ – সন্ধে ৭:০০ । মিলবে দে’জ, আনন্দ-র মতো বড় প্রকাশনা সংস্থার বই। বাংলাদেশের নানান বই। বড় সংস্থার পাশাপাশি ছোট ছোট সংস্থাগুলিও এগিয়ে এসেছে উদ্যোগে নিজেদের সামিল করতে।