“তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না..
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না..
তুমি আছো বলে মন কষাকষি,
করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি”…
প্রতিবছর অগস্ট মাসের প্রথম রবিবার ফ্রেন্ডশিপ ডে পালন করা হয়। বন্ধুদের জন্য এই দিনটা খুবই স্পেশাল।
বন্ধুত্বের কি কোনও নির্দিষ্ট দিন হওয়া উচিত ? অচেনা দুঃখগুলো যখন ভিড় করবে, মন ভেঙে যাবে, যখন সে কথা অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবে না তখনই তো মনে পড়বে সেই কাছের বন্ধুটাকে।
ধরো হঠাৎ করে কাউকে ভালো লেগে গেল, কখন বলবে বন্ধুকে ছটফট করছ, তখন মনে হবে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে এই ভালোলাগার রেশটা একটু ভাগ করে নিই। বন্ধু তো সেই যার সঙ্গে সুখ ভাগ করলে বাড়ে আর দুঃখ ভাগ করলে কমে।
সে সময়বিশেষে আমাদের পাশে দাঁড়ানো সহমর্মী। পিঠে হাত রেখে বলবে, যা করেছিস, বেশ করেছিস, লড়াই করে যা, আমি আছি পাশে।
আবার জারি থাকবে শাসনও। রাস্তার মাঝ পথ দিয়ে হেঁটে গেলে বকা দেবে। কারণ, যে বকতে পারে সে ভালবাসতে পারে। বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারে।
অকারণে ট্রিট চাইতে পারে, জন্মদিন ভুলে যেতে পারে, এমন লোককে মনে করবার জন্য আলাদা করে কোনওদিনই হয় হয় না। সারা বছরই তো তাকে মনে পড়ে কিন্তু তবুও যদি বছরের একটা বিশেষ দিন বরাদ্দ করা হয় তার জন্য যে দিন টা শুধু তার তাহলে মন্দ হয় না।
‘বন্ধু’ শব্দটা খুব ছোট, কিন্তু এর প্রাসঙ্গিকতা সকল বন্ধুদের কাছেই আবেগপূর্ণ। যা মানে না কোনও জাতি কোনও বয়স। যা শুধুই একে অপরের মনের বন্ধন।
ছোটবেলায় একের পর এক দুষ্টুমির সাথী, মনের কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার অংশীদার বন্ধু। একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া, রাগ, অভিমান, ভালোবাসা এই সবটুকু নিয়ে বন্ধুত্ব।
জীবনে বেড়ে ওঠার পথে শৈশব, কৈশোর, স্কুল জীবন, কর্মক্ষেত্র ও সমাজ জীবনে নানান মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
জানো তো সবকিছুর পেছনেই একটা ইতিহাস থাকে, ঠিক তেমনি বন্ধুত্ব দিবসের পেছনেও রয়েছে একটি ইতিহাস।
প্রথম বন্ধুত্ব দিবস পালন হয়েছিল প্যারাগুয়েতে। প্যারাগুয়ের ছোট্ট শহরে পুয়ের্তো পিনাসকোতে প্যারাগুয়ে নদীর ধারে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ আর্তেমিও ব্রাচোর মাথায় আসে স্রেফ বন্ধুদের জন্য একটা দিন বরাদ্দ করলে তা কেমন হয়! যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ব্রাচো ও তাঁর বন্ধুরা মিলে তৈরি করে ফেললেন ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড।