লখনউ: ‘তুমি এখন আমার আম্মি (মা)। তাই তোমার সঙ্গে আর ঘর করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণ হওয়া স্ত্রীকে এই যুক্তিতে তাড়িয়ে দিল এক স্বামী। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে ২৬ বছরের পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে তাঁরই শ্বশুর। সেই সময় স্বামী ও শাশুড়ি কেউই বাড়িতে ছিল না বলে অভিযোগ। পরে স্বামীর কাছে শ্বশুরের কীর্তির কথা কবুল করলে সে স্ত্রীকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, ধাক্কা মেরে বাড়ি থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বের করে দেয়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশে অভিযোগ জানানোর সময় নির্যাতিতা বধূ বলেছেন, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সময় আমার স্বামী বলে, জোর করে হলেও তোমার সঙ্গে আমার বাবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই তোমার সঙ্গে আমি আর থাকতে পারি না। তুমি এখন আমার বাবার বিবি মানে আমার আম্মি হয়ে গেছো। পুলিশকে অভিযোগে যুবতী বলেছেন, গত ৫ অগাস্ট তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। তখন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গতবছর বিয়ে হওয়া ওই যুবতী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর যুবতী বাপের বাড়িতে চলে যায়। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তাঁকে ভয় দেখানো ও মারধরের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুল ছাত্র সহ বিহারে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১০
থানা আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ১৬৪ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের জবাবে শ্বশুরের কথা হচ্ছে, এসব অভিযোগ মিথ্যা। টাকাপয়সার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে জুনেও এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবার পাঁচ সন্তানের মা ২৮ বছরের এক পুত্রবধূ শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। তখন খাপ পঞ্চায়েতে তাঁর বিচার হয়। এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ওই মহিলা আর তাঁর স্বামী সঙ্গে সহবাস করতে পারবেন না। কারণ শ্বশুর তাঁর শরীর ভোগ করায় স্বামীকে সন্তানের চোখে দেখতে হবে। স্বামীও তাঁর অপর সন্তান।