ভাইজ্যাগ: ২০ ওভারে কোনও টিম ২৭২ রান করার পর হেরেছে, এই ঘটনা নেই। তাই বুধবার কলকাতা-দিল্লি ম্যাচে কেকেআরের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু দেখার ছিল দিল্লি কতটা লড়াই দেয়। সেই সঙ্গে কলকাতার বোলিং বিভাগ কী পারফর্ম করে।
এই দুটি বিষয়ের মধ্যে ঋষভ পন্থ টি২০ বিশ্বকাপের জন্য কতটা গ্রহণযোগ্য, সেই প্রশ্ন বোধহয় এই ম্যাচের পর আর ওঠার কথা নয়। কিপিং করার পর, ২২০ স্ট্রাইক রেটে ২৫ বলে ৫৫ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টা ছয় আর ৪টে চার। শুধু তাই নয় এখনও পন্থের ক্যাপ্টেন্সিও ছাপ ফেলেছে দারুন ভাবে। তাই একথা বললে অত্যুক্তি হয় না, টি ২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঋষভ পন্থের অন্তর্ভুক্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অন্যদিকে, গত মরসুমে ফর্মে না থাকা নারাইন এবং আন্দ্রে রাসেল এ বার আবার পুরনো মেজাজে খেলছেন। এদিনের ম্যাচে ভাইজ্যাগের স্টেডিয়াম জুড়ে শুধুই নারায়ণ নারায়ণ, মানে নারিন আর নারিন। কলকাতার স্ট্র্যাটেজি ছিল নারিনকে ওপেন করানো আর ঝড়ের গতিতে রান তোলা। সেই ফাটকা আরসিবির পর দিল্লি ম্যাচেও খেটে গেল।
নারিন ৩৯ বলে করলেন ৮৫ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৭টি চার এবং ৭টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চ রান এই ম্যাচেই করে ফেললেন। প্রায় ২১৮ স্ট্রাইক রেটে রান তুললেন। তাঁর দাপটে একটা সময় অসহায় দেখাচ্ছিল দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ, গত বারের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে। ডাগ আউটে থাকা সৌরভ এবং কোচ রিকি পন্টিংয়ের চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট ছিল।
তবে এই ম্যাচে ১৮ বছর বয়সী রঘুবংশীর প্রশংসা না করে উপায় নেই। এককথায় অসাধারণ ইনিংস খেলল এই তরুণ প্রতিভা। রঘুবংশীর ব্যাটে এলো ৫৪ রান, মাত্র ২৭ বলে। স্ট্রাইক রেট ২০০। আবার নিজের জাত চেনালেন রাসেল। ১৯ বলে ৪১ রান। ইশান্ত শর্মার বিষাক্ত ইয়র্কার না এলে এদিনও হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে লিগের ইতিহাসে দল হিসেবে কেকেআরের সর্বোচ্চ রান রাসেলের ব্যাটের সৌজন্যে আসত এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আবার নিরাশ করলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তবে রিঙ্কু সিং যে টি-২০ বিশ্বকাপ দলে ঢোকার যোগ্য দাবিদার তা আজও প্রমাণ করে দিলেন। দলের প্রয়োজনে তাঁর ব্যাট থেকে এলো ২৬ রান, মাত্র ৮ বলে।
আর এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজকের ম্যাচে কলকাতার স্কোর ২৭২ রান। সর্বোচ্চ ২৭৭ রান, এই সিজনে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে করেছে হায়দরাবাদ।