বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করেছে মুম্বই। শনিবার ও রবিবারের বৃষ্টির পর কাহিল অবস্থা মায়ানগরীর। ইতিমধ্যেই অতিবর্ষন এবং ভূমিধসে সেখানে অন্তত জনা পঁচিশের মৃত্যুর খবর মিলেছে, এই অবস্থায় শ্যুটিং নিয়ে রীতিমতো আশংকায় রয়েছেন ছবির নির্মাতারা।
এমনিতেই গত বছর থেকে একটানা লকডাউনের শ্যুটিং-এর বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। সংক্রমণ একটু কমতেই ধীরে ধীরে শুরু হয়েছিল থমকে থাকা শ্যুটিংগুলো। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে ‘বচ্চন পাণ্ডে’-র শ্যুটিং সারছেন অক্ষয় কুমার। ওয়েব সিরিজ ‘মাসাবা মাসাবা ২’-এর শ্যুটিং-ও চলছে জোর কদমে। যদিও শ্যুটিং সেটে এখনও সেভাবে বৃষ্টির আঁচ লাগেনি। বরং লকডাউন পরবর্তী মুম্বইয়ে এখন ইনডোর শ্যুটিং-ই ট্রেন্ড। বেশির ভাগ সেটেই বায়ো বাবল্ -এ শ্যুটিং চলছে। সংক্রমণ হাত থেকে রক্ষা পেতে আপাতত এই পন্থাই নিয়েছেন নির্মাতারা।
ইনডোর শ্যুটের কারণে ঘোর বর্ষায় এখনও পর্যন্ত সেভাবে ফাঁসেননি নির্মাতারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সেটে পৌঁছে যাচ্ছেন কলাকুশলীরা। এত দিন কাজ বন্ধ থাকার পর নতুন উদ্যেমে কাজ করছেন সকলে, ইনডোর শ্যুট যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে সেটের লোকজনদের কাছে।
শোনা যাচ্ছে খুব শিগগিরই ‘টাইগার ৩’ -এর শ্যুটিং শুরু করতে চলেছেন সলমন খান। ইনডোর সেটেই শ্যুটিং করবেন ভাইজান। আপাতত আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট হাতে আসার জন্য অপেক্ষা করছে টিম ‘টাইগার ৩’। রিপোর্ট পেলেই শ্যুটিং শুরু হবে জোরকদমে।
এই মুহূর্তে বৃষ্টির চোখ রাঙানি, বায়ো বাবল্-এর সুরক্ষা, নতুন কর্মোদ্যম সব নিয়েই এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর সিটি অফ ড্রিমস্।