রাজকোট: ১৯৮৯ সালের আব্দুল কাদিরকে মনে আছে? মনে আছে সেদিনের কোকড়া চুলের ছোট্ট শচীন তেন্ডুলকরকে? মুস্কাক আহমেদকে মারছিলেন বলে কাদির এগিয়ে এসে বলেছিলেন ‘বাচ্চে কো কিয়া মারতা হ্যায়? মুঝে মারকে দিখা…’ তারপর বাকিটা ইতিহাস! সেদিনের পেশোয়ার স্টেডিয়াম ১৬ বছরের নাবালকের দানবীয় আস্ফালনের সাক্ষী ছিল। মনে কাদিরের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা জানিয়েও ‘শচীন যুগের’ বার্তা দিয়েছিলেন ৮৯-এর ছোট্ট তেন্ডুলকর। ২৫ বছর আগের এই দৃশ্যই যেন বার বার ফ্ল্যাশব্যাকে আসছিল এদিনের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে। কারণ অবশ্যই যশস্বী জয়সওয়াল। জেমস অ্যান্ডারসনকে যখন মাঠের চারধারে পরপর ৩টি ছয় মারলেন তখন সবাই হতবাক! ছেলেটা করছে কী?? জেমস অ্যান্ডারসনকে তো বলা যেতে পারে একহাতে খুন করছে। এই দৃশ্যটা যেন আবারও নতুন যুগের আগমন বার্তা! এই যুগের নাম ‘যশস্বী যুগ’! সিরিজে আরও একটা দ্বিশতরান করলেন! নিজের ব্যাটিং দাপটা আবারও দেখালেন। মনে রাখতে হবে এই দ্বিশতরানটা ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছে। প্রিন্স অব ক্যালকাটাও তাঁর হয়ে প্রশংসা করতে কার্পণ্য করলেন না।
বাকি যেটা হল সেটা একপ্রকার টেস্ট ম্যাচে ভবিতব্যই ছিল! দিনের শেষে ৪৩৪ রানের বিরাট ব্যবধানে জয়ী ভারত। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়ে জয় একেবারে নিশ্চিত করে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। এছাড়া কুলদীপ ২ এবং বুমরা নেন ১টি উইকেট। যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে শেষবেলায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন এবং একট উইকেটও নিলেন।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা রবীন্দ্র জাডেজা। দুটি ম্যাচে দ্বিশতরান করেও ম্যাচের সেরা হওয়া থেকে বঞ্চিত যশস্বী! তবে ক্রিকেট দুনিয়ার যে হৃদয় জিতেছেন যশস্বী সেটা বললে বোধহয় খুব কম বলা হবে। ধোনির রাঁচীতে ভারত সিরিজ পকেটস্থ করবে এই আশায় বুঁদ ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা।
দেখুন অন্য খবর: