মধুবালা-কিশোর কুমারের জুটি সাদাকালো পর্দাকেও রঙিন করে তুলেছিলেন। পর্দায় তাঁদের ছবির সেইসব অবিস্মরণীয় গান ‘হাল ক্যায়সা হে জনাব কা’, ‘এক লড়কি ভিগি ভাগি সি’ কিংবা ‘আঁখো মে তুম হো’ আজও দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। ১৯৬০ সালে বলিউডের এই জুটি সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে বিয়ের মাত্র ৯ বছর পরেই মৃত্যু হয় মধুবালার। কিশোর কুমার-মাধুবালার রিয়েল লাইফ প্রেম যেন এক অব্যক্ত গল্প। মধুবালা আজও বলিউড দর্শকদের কাছে অবিস্মরণীয়। কিন্তু এত বছর পরেও মধুবালাকে নিয়ে কেন তৈরি হয়নি কোন বায়োপিক তা নিয়ে গুঞ্জন। অথচ অনেকেই বলিউডের এই অবিস্মরণীয় নায়িকাকে নিয়ে বায়োপিক তৈরি করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সম্প্রতি অবশ্য শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রী জীবনী নিয়ে নির্মিত হতে চলেছে একটি বায়োপিক। অভিনেত্রীর বোন মধুর ব্রিজ ভূষণ এবার পিকের সহ প্রযোজনা করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি এর স্বত্বও নিয়েছেন। পাশাপাশি মধুর সেই সমস্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন যে তাদের অনুমতি ছাড়া কেউ মধুবালাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন না। তিনি বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৮0 বছর। মধুর আরো জানিয়েছেন যে মধুবালার ওপর নির্মিত যে কোনো ছবি, তাঁর পরিবারের মানসিক এবং আইনি অধিকার। কেউ তার সম্মতি ছাড়া মধুবালার উপর বা পিক বানানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও মধুর স্পষ্ট ভাষা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ‘মধুবালা ভেঞ্চার প্রাইভেট লিমিটেড’ এর ব্যানারে ‘ব্রিউইং থটস প্রাইভেট লিমিটেড’ এর সঙ্গে যৌথভাবে এই ছবিটি প্রযোজনা করতে চলেছেন মধুর ব্রিজ ভূষণ।