মাতৃত্বের সফর-বন্দী করা বই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কিভাবে বলিউডের গ্ল্যামারাস নায়িকা যৌন আগ্রহ হারিয়েছিলেন এবং সেই পরিস্থিতির সঙ্গে অভিনেতা স্বামী কিভাবে কিভাবে মানিয়ে নিয়ে ছিলেন তা এই বইয়ের পাতায় আবিষ্কৃত হয়েছে। হ্যাঁ,এই বইয়ের নাম সকলের জানা। ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’। বেবোর এই বইয়ের নাম নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। পিছিয়ে যান নি বইয়ের লেখিকা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর। সম্পর্কে যিনি বলিউড অভিনেতা সইফ আলী খানের স্ত্রী। লেখিকা শুধু একজন প্রতিষ্ঠিত বলিউড অভিনেত্রী নয় সঞ্চালিকা হিসেবে ও যিনি দর্শকদের মন করেছেন।
এবার তাকেই পাওয়া গেল লেখিকা হিসেবেও। ভার্চুয়াল এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড প্রযোজক-পরিচালক করণ জোহর।আনুষ্ঠানিকভাবে বই প্রকাশিত হওয়ার আগে এই বইয়ের মধ্যে কি কি ইন্টারেস্টিং বিষয় করিনা তুলে ধরেছেন, তা একটু একটু করে তিনি আগে জানিয়েছিলেন।কিছুদিন আগে জানা যায়, সাইফ-কারিনা তাদের ছোট ছেলেকে সংক্ষেপে ‘জেহ’ নামে ডাকেন। ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইয়ে করিনা জানিয়েছেন, ছোট ছেলের নাম রাখা হয়েছে জাহাঙ্গীর আলী খান। এই বইয়ের শেষ পাতায় ছোট ছেলের ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে লাইভ আড্ডায় বন্ধু করণ জোহরের সঙ্গে নিজের জীবনের নানান অজানা রহস্য ফাঁস করেছেন অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানে করিনার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যৌনতার প্রতি অনাগ্রহ নিয়ে করণ জোহারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই সময় যেকোনো পুরুষকে খুব সাপোর্টিভ হতে হয়। পার্টনারের প্রতি যাতে কোনরকম মানসিক চাপ তৈরি না হয় সেটা দেখা উচিত। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেয়েদের মুড ভীষণ সুইং করে। নবাব পত্নী আরো বলেন,’আমি যখন ছয় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন খুব ক্লান্ত লাগত, উঠে দাঁড়াতেও ইচ্ছে করত না। এক রকমের মানসিক অবসাদ তৈরি হতো। এই সময় পুরুষ সঙ্গীকে সহযোগিতা করতে হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেয়েদের অন্যরকমের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়, সেটা তার পার্টনারের বোঝা উচিত। এই সময় মেয়েদের সেক্স লাইফ খুব একটা একটিভ হয় না। সেটা পার্টনারকে বিশেষভাবে রিয়েলাইজ করতে হয়।’ এই অবস্থায় মেয়েদের মনের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার পার্টনারের দেখা উচিত বলে করিনা মনে করেন।