করোনার কারণে সব খারাপের মধ্যেও কিছু ভালো হয়েছে। যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তায় সিনে ইন্ডাস্ট্রির অনেক সৃজনশীল মানুষের কাজের পরিধি বেড়েছে । অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে বেশকিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এর মাঝেই জানালেন, “অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আসায় সিনে ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা, স্ক্রিট রাইটার থেকে ডিওপি সকলের কাজের সুযোগ অনেকটাই বেড়ে গেছে।
ভারতে বহু আগে ওটিটি এলেও এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে লকডাউনের সময়। এর পর দুই ধরনের কন্টেন্ট তৈরি হবে সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে, একটি সিনেমা হলের জন্য আর অন্যটি ওটিটি র জন্য। অনলাইনে কাজ করার স্বাধীনতা অনেক বেশি। এই মাধ্যমে দুটো জিনিস দরকার, বিষয়বস্তু ও অভিনয়। তাই আমাদের মতো অভিনেতাদেল কাজের সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে।”
লকডাউনের কারণে অনেক কাজ আটকে ছিল, বহু অভিনেতা বাড়িতে বসেই দিন কাটিয়েছে। তবে দুটো লকডাউনের মাঝে বেশকিছু কাজ শেষ করেছেন জয় সেনগুপ্ত। এই মুহূর্তে একটি জনপ্রিয় ওটিটির জন্য তিনি ওয়েব সিরিজের শ্যুট করছেন। নাম “ইন্সপেক্টর অভিনাশ”।নীরজ পাঠক এর পরিচালনায় এই সিরিজে জয় সেনগুপ্ত সঙ্গে দেখা যাবে রণদীপ হুডা ও ঊর্বশী রাওতলা। ৯২ সালের স্ক্যাম নিয়ে যেরকম সিরিজ হয়েছিল সোনি লিভে, সেরকমই অন্য একটি বড় স্ক্যাম নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি সিরিজ, এই সিরিজেও দেখা যাবে অভিনেতা জয় কে।তবে এখনি এই নিয়ে বিশেষ কিছুই বলতে নারাজ অভিনেতা। এছাড়াও ১৯৫০ সালের বহু বিতর্কিত একটি গল্পের বই থেকে ছবি হচ্ছে , নাম ‘লতিকা’।এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ছবিটি পরিচালনা করবেন নতুন পরিচালক জয় ভট্টাচার্য। অন্যদিকে পরিচালক ইন্দ্রাশিষ আচার্যের হিন্দি অরিজিনাল ‘রেড ভেলবেট’ এর কাজ শেষ করলেন জয় সেনগুপ্ত।
অভিনেতার কথায়,”কলকাতায় অনেক ওটিটি অসলেও প্রোডাকশনের মান সেই ভাবে বাড়ছেনা। হিন্দির ক্ষেত্রে অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে,সেই কারনে প্রোডাকশনের মানও ভালো হয়। বাংলাতে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম ক্লিক থেকেই আমার একটি অরিজিনাল ‘এভাবেই গল্প হোক’ দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছে। আগামী দিনে বাংলায় আরো বেশি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম এলে কাজও ভালো হবে।”
তিনি আরও বলেন “হিন্দি ছবিতে বেশি কাজ করলেও আমার মন পড়ে থাকে কলকাতায়। তাই যখনই সুযোগ পাই কলকাতায় কাজ করতে চলেছেন আসি”।