বেশকিছু বায়োপিকের প্রস্তাব পেয়েছেন এই জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী। কিন্তু দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগই তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। কারণ তার মতে বায়োপিক হলেই যে সেটা অসাধারণ হবে তা তিনি মনে করেন না। প্রতিটি বায়োপিকেই যে খুব ড্রামাটিক হবে সেটা ভাবার কোন কারণ নেই। তার কথায় প্রতিটি বায়োপিকে সিনেমাটিক মেটিরিয়াল সব সময় ঠিক পরিমাণে থাকে না। তার ফলে পর্যায়ে সেটা দেখতে খুব ক্লান্তিকর লাগে। লক্ষ্য করে দেখেছি বেশিরভাগ বায়োপিকের গল্প বলার স্টাইলটা কমবেশি একই রকম। সেই জন্য প্রচুর বায়োপিকে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ এবং ‘শকুন্তলা দেবী’ ছবির প্রধান অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। প্রথম ছবিটি দক্ষিণী অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার বায়োপিক। দ্বিতীয়টি গণিত বিশেষজ্ঞ শকুন্তলা দেবীর বায়োপিক। কিছুদিন আগে খবরে প্রকাশ যে জয়ললিতা বায়োপিকে দেখা যেতে পারে বিদ্যা বালানকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ওই বায়োপিকে কাজ করেননি। সে জায়গায় জয়ললিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনাওয়াত।
এ কথা সত্যি যে কোন ব্যক্তির সম্পর্কে পড়তে বা শুনতে বেশ ভালো লাগলো বায়োপিক হিসেবে পর্যায়ে তুলে ধরার মতন রসদ সব সময় লেখার মধ্যে নাও থাকতে পারে। তাই বিদ্যার মতে, বলিউডে এখন বায়োপিক তৈরীর একটা হিড়িক চলছে। এইভাবে বায়োপিক তৈরি হলে দর্শকরা তা গ্রহণ নাও করতে পারে। তাদের কাছে সেটা একঘেয়েমি লাগতে পারে। যেসব বায়োপিক এর মধ্যে একটু অন্যরকমের মেটিরিয়াল থাকবে সেগুলো ছাড়া বাকিগুলো দর্শকরা ছুঁড়ে ফেলে দেবে। বিদ্যা বলতে চাইছেন, অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী কিংবা ভালো চিত্রনাট্যই যদি বায়োপিকের রেসিপি হয় তবে তা বক্স অফিসে সফল হবে। অবশ্য সেটা কিভাবে দর্শকদের সামনে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে সেটাও বিচার্য। অভিনেত্রীকে শেষবার পর্দায় দেখা গেছে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম এর ‘শেরনি’ ছবিতে।