বোলপুর: পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত রাখল বিশ্বভারতী। সোমবার বিশ্বভারতীতে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে পরীক্ষা নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। দ্বাদশ শ্রেণির একজন পরীক্ষার্থী জখমও হন। শেষ পর্যন্ত পিছু হটল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়ে দিয়েছে, দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাঠভবনের হস্টেল খালি করার নির্দেশও দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এদিন দ্বাদশের পরীক্ষা বয়কটের দাবিতে দিনভর আন্দোলন চলে বিশ্বভারতীতে। বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা। এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রাবাস খুলে দিতে হবে। সেইমত ছাত্রাবাস খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিযোগ, কোন ছাত্রাবাস এখনও পর্যন্ত পায়নি পড়ুয়ারা। রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে ছাত্রাবাস ছেড়ে দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তির পরেই উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীতে।
বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সোমবার পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্র বিভাগের শিক্ষক কাউন্সিলের অনুমোদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বর্তমান অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা বন্ধ থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। প্রাপ্ত ছাত্রাবাস দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও ছাত্রাবাস এখনও কাউকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। ৩৩০০ জনের পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১২০ জনের ছাত্রাবাস বরাদ্দ হয়েছে৷ বরাদ্দ হওয়ার পরেও কেউ ছাত্রাবাস পায়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: বিশ্বভারতীতে আন্দোলনের পিছনে তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট, মৌনী ভাঙলেন উপাচার্য