নবমীর রাত পেরিয়ে আজ দশমী। দেবী উমার কৈলাশে যাওয়ার পালা। কয়েকদিন আনন্দের পর আজ বিসাদের ছায়া আপামর বাঙালির। নিজের ও অপর পরিবারে মানুষদের শুভকামনায় মিষ্টি ও সিন্দুর ছুঁইয়ে দেবী উমার কাছে আশির্বাদ নিচ্ছেন মহিলারা। রাজ্যের প্রতি জেলাতেই দেখা যাচ্ছে এই ছবি।
শুক্রবার দশমী উপলক্ষ্যে জেলার পুজোগুলোতে চলছে ঘরের মেয়ে দুর্গাকে বিদায় জানানোর পালা। এদিন সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ পুজো মণ্ডপে দেখা গেল মহিলারা একে অপরকে সিন্দুর দিয়ে রাঙিয়ে শুভেচ্ছা বিনয়ময় করছে। প্রত্যেকেই যেন বলছেন, “আবার এসো মা, এক বছরের প্রতিক্ষায় রইলাম।”
আরও পড়ুন : দশমীতে রানীর মনে পড়ল পুরনো স্মৃতি
আসছে বছর আবার হবে বলেই সিঁদুর খেলায় মেতেছেন জলপাইগুড়ি শহরের পুজো মণ্ডপের মহিলারা। এই দিন জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিভিন্ন পুজো কমিটির মণ্ডপে মহিলারা দুর্গাকে সিঁদুর দিয়ে নিজেরাও সিঁদুর খেলেন। সিঁদুর দেওয়ার পর উপস্থিত সকল মহিলাদের দেবী দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থনা, “করোনা বিদায় হোক দেশ থেকে। মুক্ত হোক সমাজ। শিশুরা ভালো থাকুক, সকলেই ভালো থাকুক।” এদিন জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর রাজবাড়িতেও সিঁদুর দানের পর্ব চলে। প্রতিমাকে সিঁদুর দেওয়ার পর নিজেদের মধ্যেও সিঁদুর বিনিময় করেন উপস্থিত মহিলারা।
নদিয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়িতে আজ সকাল থেকেই চলছে মহিলাদের ঠাকুর বরণ। দশমীর সকাল থেকেই রাজবাড়ির ঠাকুরদালানের আশপাশে মহিলারা ভিড় করছেন দুর্গার বরণ দেখতে। রাজপরিবারের সদস্যা অমৃতা রায় বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দুর্গাকে বরণ করেন। বরণ শেষ হলে বাকি মহিলাদের সঙ্গে সিঁদুর খেলার অংশ নেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই এই রাজ্বাড়িতে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়। অতীতে সিঁদুর খেলা হত না রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ বাড়িতে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে রাজপরিবারের সদস্যা অমৃতা রায় সিঁদুর খেলা শুরু করেন। সেই থেকে আজও এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন রাজবাড়ির সদস্য থেকে শুরু করে ওই এলাকার মহিলারা। সিঁদুর খেলা শেষ হওয়ার পর মা দুর্গার প্রতিমা জলঙ্গিতে বিসর্জন দেওয়া হয়।