কুলতলি: দোকানে চুরির (Theft) অভিযোগে একই পরিবারের তিন নাবালককে ঘরে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ উঠল তৄণমুল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। শুধু মারধর করাই নয়, পুলিশকে (Police) ম্যানেজ করার জন্য ওই পরিবারের কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবিও করা হয়। পরিবারের তরফে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আজিজুল পিয়াদা নামে অভিযুক্ত তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ওই নেতা মারধরের কথা স্বীকার করে দাবি করেন, ওই তিন নাবালককে জনরোষের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই তুলে আনা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলতলি থানার রাধাবল্লভপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে গত ৩১ মে। একটি দোকানে চুরির অভিযোগ ওঠে ওই তিন নাবালক ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তারপরই বাড়ির থেকে তিন জনকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে আজিজুল ওই তিন জনকে লাঠি দিয়ে পেটান। স্থানীয় এক যুবককেও মারধর করা হয়। তিন নাবালকের মা জানান, তৃণমূলের ওই নেতা তিন জনকে জোর করে নিয়ে যান। তিনি বিষয়টি মিটমাট করার জন্য পুলিশকে দিতে হবেবলে ২৫ হাজার টাকা দাবিও করেন। শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের কাছহে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও সোমবার পর্যন্ত ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন:Coal Scam | Moloy Ghatak | কয়লাপাচার কাণ্ডে ১৯ জুন মলয় ঘটককে তলব ইডি-র
স্থানীয় সিপিএম নেতা আনীশ গায়েন জানান, রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। নাবালকরাও তৃণমূলের অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সিপিএম নেতার আরও অভিযোগ, ঘটনার পর ওই পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আজিজুল বলেন, ওই তিন নাবালককে হাতের কাছে পেলে স্থানীয়রা মারধর করত, তাই ওদের আমি সরিয়ে নিয়ে কয়েক ঘা লাগাই। চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।