কেতুগ্রাম: সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেন কেতুগ্রামের রেণু খাতুন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মুখ্য সাস্থ্য দফতরের গিয়ে স্টাফ নার্স গ্রেড ২ পদে যোগ দিলেন তিনি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক প্রণব রায়ের কাছ থেকে কাজের দ্বায়িত্বভার বুঝে নেন রেণু। যোগ দেওয়ার পরই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোনও নির্দেশ না আশা পর্যন্ত আপাতত রেণু খাতুন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মরত থাকছেন বলে জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়। মঙ্গলবার কাজে যোগদান করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান রেণু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেণু জানান, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুন নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। একাধিক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার পর তিনি সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নার্সপদে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই চাকরিতে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্বামী শরিফুল শেখ। শরিফুলের ধারণা ছিল স্ত্রী রেণু সরকারি চাকরিতে গেলে হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই গত ৪ জুন স্ত্রী যাতে চাকরি করতে না পারে, সেজন্য ঘুমন্ত অবস্থায় রেণুর ডানহাতের কবজি থেকে কেটে দেয় তার শরিফুল।
আরও পড়ুন Jagdeep Dhankhar: ধুঁকছে গণতন্ত্র, রাজ্যে ভেঙে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থা, সরব রাজ্যপাল
ওই ঘটনার পরের দিন ৫ জুন এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন রেণুর বাবা আজিজুল হক। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস দু’দিনের মধ্যেই শরিফুলকে গ্রেফতার করে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আসরফ আলি শেখ ও হাবিবুর রহমানকে। তারপর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অন্যতম মাস্টারমাইণ্ড শরিফুলের মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদকে। চারজনেই এখন পুলিসি হেফাজতে আছে।
আরও পড়ুন Health University Bill: বিধানসভায় পাশ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিল