বসিরহাট: সন্দেশখালির মণিপুরে ধরা পড়া পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হল জঙ্গলে। বাঘটিকে গত দু’দিন বনদফতরের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
বাঘটির জন্য মোট পাঁচ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি মঙ্গলবার জানায়, বাঘটির শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। এরপরেই বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বনদফতর।
মঙ্গলবার দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নৌকা করে নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘটিকে। মাঝ নদীতে খুলে দেওয়া হয় খাঁচার দরজা। খাঁচা থেকে এক লাফে জলে নেমে পড়ে বাঘটি। তারপর চেনা ছন্দে নদী পেরিয়ে বাঘটি চলে যায় সুন্দরবনের চামটার জঙ্গলে।
রবিবার সন্দেশখালির মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আট নম্বর মিঠেখালি এলাকায় সকালে বাঘটিকে দেখা গিয়েছিল। রবিবার সকালে রায়মঙ্গল নদীর চরে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন বছর ষাটের ছয়রাপ কারিগর। পাশেই সুন্দরবনের ভাগনা ফরেস্ট । সেখান থেকেই রায়মঙ্গল নদী সাঁতরে লোকালয় ঢোকার চেষ্টা করেছিল এই রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি। সেই সময় নদী সাঁতরে ডাঙায় উঠে আসে বাঘটি। মুহুইর্তেই ঝাপিয়ে পরে ওই ব্যক্তির ওপর।
প্রাণ বাঁচাতে বাঘের সঙ্গে চাষির সংঘর্ষ হয়। দক্ষিণ রায়ের আচড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় ওই ব্যক্তির হাতের কিছুটা অংশ। কোনও রকমে বাঘের মুখ থেকে পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে লাঠি-সোটা নিয়ে বাঘটিকে তাড়া করলে পালিয়ে যায় বাঘটি। খবর পেয়ে বন্দফতরের ১৫ জন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। খাঁচা দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন তাঁরা। দক্ষিণরায়কে দ্রুত খাঁচা বন্দি করার জন্য ব্যবস্থাপনা করে বনদফতর। ঘটনায় বেশ আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন- Fishing Cat: বাঘরোল হত্যাকারীদের খোঁজ দিলে নগদ পুরস্কার, ঘোষণা বন দফতরের
বাঘটিকে বাগে আনতে এর পর ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়েন বনকর্মীরা। ৩টি গুলি ছোড়ার পর নিস্তেজ হয় বাঘটি। এর পর গ্রামবাসীদের সাহায্যে নৌকায় করে বাঘটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। তারপর থেকেই বনদফতরের অধীনেই ছিল বাঘটি।