বনগাঁ: কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) এক কর্মীর বাবার পচাগলা দেহ উদ্ধার হাবড়ায় (Habra Body Recover)।দেহ উদ্ধারের দিনেই ছেলে ও তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাড়িতে একা থাকতেন।ছেলে ও ছেলের বউ একই বাড়িতে থাকলেও আলাদা সংসার। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই একা হয়ে পড়েছিলেন হাবড়ার সত্যরঞ্জন দে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছেলে মেয়ের সঙ্গে তেমন বনিবনা ছিল না।এরপর বুধবার সকালে হাবড়ায় তাঁর বাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় ওই বৃদ্ধার ৬ দিনের পচাগলা দেহ।চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাবড়া থানার হাটথুবার দাসপাড়া এলাকায়।
পুলিস জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার হাটথুবার দাসপাড়া এলাকায় মৃতের বাড়ি।বুধবার সকালে একটি কুকুর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।তখনই সবটা সামনে আসে।
আরও পড়ুন Instant remedies for Dark circles: চোখের কালি দ্রুত নিরাময়ে কাজে লাগান এই সব ঘরোয়া টোটকা
এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে সত্যরঞ্জন বাড়িতে একাই থাকতেন। ছেলে বান্টি দে ও তাঁর স্ত্রী বাড়ির জমিতে অন্য একটি বাড়ি তৈরি করে থাকতেন।সত্যরঞ্জন বাবুকে বৃহস্পতিবার শেষবার বাইরে বেরোতে দেখা গিয়েছিল।এদিন সকালে তাঁর ঘরের দরজা দিয়ে কুকুর ঢুকতে দেখা যায়। দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে সন্দেহ বাড়ে। স্থানীয়রা দরজায় ঠেলে ঢুকতে গিয়ে দেখেন খাটের নীচে পড়ে রয়েছেন সত্যরঞ্জন । প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তড়িঘড়ি হাবড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, বৃদ্ধর ছেলে ও ছেলের বউ বুধবার সকালে বাড়ি থেকে চলে যান।আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস বৃদ্ধর ছেলে ও ছেলের বউয়ের খোঁজ শুরু করেছে।