বাঁকুড়া: উত্তরাখণ্ডে প্রবলবৃষ্টি ও প্লাবনে ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখরছে। গত ২ দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেবভূম। উত্তরাখণ্ডের এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন অনেক পর্যটক। খোঁজ মিলছে না বাঁকুড়ার ৭ জনেরও। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। National Disaster Response Force (NDRF)। তবে, খোঁজ পাওয়া যায়নি এই রাজ্যের ৭ জনের।
পাহড়ে চড়ার নেশাতেই সকলে পাড়ি দিয়েছিলেন ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে। কেউ শিক্ষক আর কেউ আধিকারিক। এবার পুজোর ঠিক আগেই কুলু মানালি ট্রেকিং সেরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন সকলে। বাড়িতে পুজো কাটিয়ে আবার নবমীর বিকেলে দূর্গাপুর থেকে ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছিলেন দেরাদুনের উদ্দেশ্যে।
এবারের ট্রেকিং রুট ছিল উত্তরাখণ্ডের হার কি দুন ও রুইনসারা তাল। এই রাজ্য থেকে ১৫ সদস্যের ট্রেকিং দল রওনা দিয়েছিল। সেই দলেই ছিল বাঁকুড়া জেলার ৭ জন। উত্তরখন্ডের এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর থেকেই বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। উতকন্ঠায় বাঁকুড়ার আগড়দা ও পুরুষোত্তমপুর গ্রামের ৭ পর্বতারোহির পরিবার।
আরও পড়ুন – জয়গাঁওর কাছে ফুঁসছে তোর্সা, তলিয়ে গেল দুই শিশু
বাঁকুড়ার ওন্দা থানার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের ডব্লু বি সি এস অফিসার বিকাশ রায়, স্কুল শিক্ষক সবুজ বরন মন্ডল, অরন্যদেব মন্ডল, পুষ্পেন মন্ডল ও ত্রিপুরারি কুন্ডু ও আগড়দা গ্রামের শিক্ষক দম্পত্তি মৃত্যঞ্জয় পাল ও অন্বেষা বাঁকুড়া জেলার এই ৭ সদস্য রওনা দেয় ট্রেকিং করতে উত্তরাখন্ডে।
বাঁকুড়া জেলার এই ৭ সদস্য-সহ মোট ১৫ জনের ট্রেকিং দল রওনা দেয় উত্তরাখণ্ডে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেকিং রুটে যাওয়ার আগে রবিবার শেষ কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন – তিস্তার জলে মালবাজারে বাঁধে ভাঙন
এদিকে মঙ্গলবার টিভিতে উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর দেখার পর থেকেই উৎকন্ঠা শুরু হয় পরিবারগুলির। উদ্বেগে রয়েছেন ওই সাত পর্বতারোহীর পরিবার। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের তরফে পরিবারগুলির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের তরফ থেকে ট্রেকিং টিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।