শান্তিপুর: দোকানে কাজ করিয়েছিলেন। পাওনা সব টাকা দেওয়া হয়ে গেলেও বাকি ছিল মাত্র ১০০ টাকা। আর সেই টাকার জেরেই বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল এক মহিলাকে। ঘটনায় গুরুতর আহত ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের কলেজ মোড় এনএস রোড এলাকার।
১০০ টাকার জন্য আচমকাই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা মমতা চক্রবর্তীর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। , ঘরের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করতে শুরু করে। ওই মহিলা দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
এরপর মায়ের করুণ পরিনতি দেখে ছেলে দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে যান। তাঁকেও লোহার বস্তু দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মমতা চক্রবতী। এরপরই চেঁচামেচি করতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দুস্কৃতীর দল।
গুরুতর জখম অবস্থায় মমতা চক্রবর্তীকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মমতা চক্রবতী। আহত মমতা চক্রবর্তীর ছেলে তন্ময় চক্রবর্তীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে পাশের পাড়ার একটি ছেলেকে দিয়ে তাঁর চায়ের দোকানের মিস্ত্রির কাজ করিয়ে ছিলেন। সব টাকা দিয়ে দেওয়ার পরেও মাত্র ১০০ টাকা দিতে বাকি ছিল। ওই ১০০ টাকার জন্যই গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পাশের পাড়ার ওই যুবক।
আরও পড়ুন- Burdwan Fake Currency: বাজার ছেয়ে গিয়েছে জাল নোটে, বর্ধমান পুলিসের জালে তিন
এরপরেই গতকাল রাতে ধারাল অস্ত্র ও দলবল নিয়ে হঠাৎ বাড়িতে হামলা চালায় ওই যুবক। তার পরে গোটা পরিবারকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এই ঘটনায় শুক্রবার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহত মমতা চক্রবর্তীর ছেলে তন্ময় চক্রবর্তী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।