পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তহাতে রাজধর্ম পালনে মাওবাদীদের বাজার বন্ধ রাখার হুমকি কোনও কাজে আসল না। বুধবার মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাঁটাতে। যেখানে দুই তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি ৭ দিনের জন্য পিড়াকাঁটা বাজার বনধের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বনধের কোনও প্রভাবই পড়ল না বৃহস্পতিবার।
এদিন সকাল থেকেই স্বাভাবিক রয়েছে পিড়াকাঁটা বাজার। সমস্ত দোকানপাট খোলা। জনজীবনও স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, বাজারেই থাকা পিড়াকাঁটা হাইস্কুলও খোলা রয়েছে। কোথাও বনধের কোনও প্রভাব নেই বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এবার আমরা খেলব টিএমসি নেতাদের সঙ্গে। ৭দিন বাজার বন্ধের হুমকি দিয়ে পোস্টার ফেলেছিল মাওবাদীরা। পোস্টারে কিষেনজির (maoist kishenji) মৃত্যুর বদলা চাই বলেও হুমকি দেয় মাওবাদীরা। শালবনি ব্লকের ৭ নম্বর অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান পরিমল ধল ও তাঁর সহকর্মী উদয় রানার নাম দিয়ে লেখা পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দেয় এলাকায়। ঘটনার খবর পেতেই পুলিস গিয়ে ওই পোস্টার উদ্ধার করে। হুঁশিয়ারির তালিকায় থাকা তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই কাজ বিজেপির। এসব হুমকিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। আর তাই হল, মাওবাদীদের ডাকা বনধের প্রথম দিনেই।
কয়েকটি জেলার পুলিস সুপারের কাজে যে তিনি আদৌ খুশি নন তা বুধবারই নবান্ন থেকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই তালিকায় আছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, নদিয়া৷ সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পড়তে দেখা যাচ্ছে৷ এ নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জেলাশাসকের কাছে জানতে চান, এত মাওবাদী পোস্টার পড়ছে কেন? আসলে ওগুলো সব বিজেপির কাজ৷ মাওবাদী বলে কিছু নেই৷ তবু তিনি পুলিস সুপারকে সতর্ক করে দেন৷ জানান, বেলপাহাড়ি হয়ে বাইরে থেকে লোক ঢুকছে৷ দরকার হলে বেলপাহাড়ি সিল করে দিতে হবে৷
পুলিসকে মমতার সেই হুঁশিয়ারির পরই এদিন পিড়াকাঁটাতেও দেখা গেল বনধ পুরোপুরি ব্যর্থ। যদিও জেলা পুলিস সতর্ক রয়েছে।