মালদহ: মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে চারদিন ধরে নিখোঁজ নাবালিকা ছাত্রী। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী হরিশচন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতার ভাইঝি। তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে পরিবার। অভিযোগ, কিশোরীকে অপহরণ করে বিজেপি কর্মীরা বিহারে পাচার করে দিয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ওই ঘটনায় ১৩ জন বিজেপি কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
পুলিস জানায়, হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। বুধবার স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল সে। বিকেল গড়ালেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু ওই ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি কিশোরীর। পরিবারের দাবি, স্থানীয় সূত্রে তাঁরা খবর পেয়েছেন, কিশোরীকে ব্যাঙ্কের সামনে থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খারাপ উদ্দেশে তাকে বিহারে পাচার করা হয়েছে বলেও দাবি করে পরিবার। ওই ঘটনায় বরুই এলাকার ১৩ জন বিজেপি কর্মী জড়িত বলে পুলিসে অভিযোগ জানায় পরিবার। তৃণমূলের দাবি, ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি হিমাংশু দাসের।
কিশোরীর কাকা, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সহসভাপতি বিক্রম দাস বলেন, এখান থেকে বিহার খুব দূরে নয়। মেয়েটিকে অপহরণ করে খারাপ উদ্দেশ্যে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandol: অসুস্থ অনুব্রত, সিবিআইয়ের কাছে চার সপ্তাহ সময় চাইলেন
যদিও পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপিকে বদনাম করতে মিথ্যে অভিযোগ করছে পরিবার। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিশোরীর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।