ঝালদা: পুরুলিয়ার ঝালদায় নিহত (Tapan Kandu Murder Case) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Congress Councillor Muder Case) তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু শনিবার গোপন জবানবন্দি দিলেন। পুরুলিয়া জেলা আদালতে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় গোপন জবানবন্দি দিতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন পূর্ণিমা দেবী। ১৬ মার্চ জেলা পুলিস সুপারের কাছে তপন কান্দুর (Tapan Kandu) পরিবারের তরফে লিখিত ভাবে এই আর্জি জানানো হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই গোপন জবানবন্দির ব্যবস্থা করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ঝালদার নিহত নেতার স্ত্রীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
১৩ মার্চ নিহত হন তপন কান্দু। ঝালদার জনপ্রিয় এই কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ইতিমধ্যে তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এ বারের পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দীপক। ভোটের আগে দলবদলে তৃণমূলে যোগ দেন দীপক। পরে কাকার বিরুদ্ধে ভাইপোকে প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবির। তবে, পুরভোটে শেষ পর্যন্ত তপন কান্দুই জয়ী হন।
তপন কান্দু খুনের কারণ কাকা-ভাইপোর রাজনৈতিক লড়াই কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আরও বড় কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কান্দু পরিবারের কয়েক জনের কথায় অসংগতিও পেয়েছে পুলিস।
ঝালদার কংগ্রেস নেতা হত্যারহস্যের জট খুলতে ইতিমধ্যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)গড়া হয়েছে। পাশাপাশি সিআইডি-র একটি দলও গত বুধবার ঝালদায় গিয়ে কান্দু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। সিআইডি-র অতিরিক্ত পুলিস সুপার শান্তি দাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তপন কান্দুর বাড়িতে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন Tiljala Shoot out: হোলির দিন সকালে ‘গুলি’ চলল তিলজলায়, জখম ২
কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তপন কান্দুর স্ত্রী। ঝালদার আইসি সরাসরি খুনের চক্রান্তে জড়িত বলে দাবি করা হয়। একটি অডিয়ো টেপ প্রকাশ্যে আসার পরেই ঝালদার নিহত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী এই অভিযোগ করেন। অভিযোগ, তপন কান্দু যাতে তৃণমূলে যোগ দেন, তার জন্য পুলিসই চাপ দিচ্ছিল। যদিও, সেই বিতর্কিত অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি। ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝালদার আইসিকে সরানোরও দাবিও তোলেন পূর্ণিমা কান্দু।
এ দিকে, শনিবারই তপন কান্দুর আর এক ভাইপো মিঠুন কান্দুর ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। মিঠুন কান্দু এর মধ্যে নানা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী তাঁর সঙ্গে ঝালদা থানার আইসি’র ফোনে কথা হত বলেও তিনি দাবি করেন। তৃণমূল কংগ্রেসে কাকাকে নিয়ে আসার জন্য আইসি সঞ্জীব ঘোষ চাপ দিচ্ছিলেন বলেও মিঠুনের অভিযোগ। মিঠুনের এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতেই তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন Food poisoning cattle deaths: খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত…