জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri TMC) বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC Leader) নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমায় পুলিসি বাধা দানে চাপের মুখে জেলা নেতৃত্ব। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ানোয় রাজ্য নেতৃত্বও অসন্তুষ্ট (Jalpaiguri TMC Clash)। সেকথা বোঝা গেল এ নিয়ে কোঅর্ডিনেটরের কাছে জবাবদিহি চাইলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ।
নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিতে দেওয়ায় পুলিসের অতিসক্রিয়তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন জলঘোলা চলছে। জেলাস্তরের নির্বাচনী সভায় পুলিসকেই কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল। কার নির্দেশে নির্দল প্রার্থীর মনোনয়নে বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে কোঅর্ডিনেটরের জবাব তলব করলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।
শনিবার জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের সভাকক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের পুরসভার নির্বাচনী সভা ছিল। সেখানে নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন না দিতে পারার বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব লাগে। সভামঞ্চে জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, আমাদের জেলার কোঅর্ডিনেটরকে জবাব দিতে হবে, কেন পুলিস-প্রশাসনের এত সক্রিয়তা। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যার জন্য আমি জেলা সভানেত্রী হিসেবে জেলা কোঅর্ডিনেটরের কাছে জানতে চাইব, কেন এত পুলিসের সক্রিয়তা। যেখানে আমরা বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দিলাম না, সেখানে আমাদের ঘরের মানুষকে ঘিরে এত সমস্যা কেন হল? প্রার্থী তালিকা নিয়ে সমস্যা এবার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মনোনয়ন দেওয়ার পরেও তাঁকে আন্তরিকভাবে বোঝানো যেতে পারত। কিন্তু একটি ঘটনাতে প্রশাসনের অতিসক্রিয়তা দেখা গেল। সেই সম্পর্কে জেলা সভানেত্রী হিসেবে আমি সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
আরও পড়ুন Madhya Pradesh Tunnel: সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় আটকে পড়েন একাধিক শ্রমিক, উদ্ধার ৭
জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাচনের কোঅর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে ১ নং ওয়ার্ডে পুলিস যেভাবে বাধা দিয়েছে, তা দল সমর্থন করে না। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে দলকে জড়াব রাখব না। এটাই আমাদের অফিসিয়াল বক্তব্য।