বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকে তৃণমূলে চূড়ান্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। হালচাল দেখে সাধার কর্মীরা হতাশ। তারই মধ্যে স্থানীয় বিধায়ক জীবন সাহা এবং দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শিদ জর্জের কথাবার্তার একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে মোটা টাকার বিনিময়ে ব্লক সভাপতির পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি এমনটাই দাবি করেছেন। তবে টাকার কথা অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। অডিয়োয় শুনতে পাওয়া কণ্ঠস্বর তাঁর নিজের বলেও স্বীকার করেন জীবন সাহা। তাঁর দাবি, সাংগঠনিক বিষয়ে টাকার কথা এসেছে। ব্লক সভাপতি পদের জন্য নয়।
এদিকে দলের প্রাক্তন যুব সভাপতি মাহে আলমের বিরুদ্ধে বিধায়কের অভিযোগ ঘিরেও তৃণমূলে তোলপাড় চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়া থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ করেছেন বিধায়ক। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে চিঠি লিখে তাঁকে সরানোর কথা বলা হয়। চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসায় সাংবাদিকদের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মাহে আলম। বিধায়ক বলেন, অনেক সময় ফাঁকা প্যাড আমি অনেককে দিয়ে রাখি। কেউ কারসাজি করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
দলীয় সূত্র্রের খবর, স্থানীয় বিধায়ক গত ২ জুলাই পুরমন্ত্রীকে ওই চিঠি লিখে জানান, ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি কাটমানি নেওয়া-সহ বহু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। শুধু তাই নয়, তিনি এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছেন বলেও বিধায়কের অভিযোগ। এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলেও তিনি জানান। তাঁর দাবি, মাহে আলমের জায়গায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির শামসের দেওয়ানকে ব্লক সভাপতি করা হোক। মাহে পাল্টা অভিযোগ করেন বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁকে তিনি চরম মিথ্যেবাদী বলেও কটাক্ষ করেন।
সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঘিরে তৃণমূলে এখন চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। জেলার এক নেতা বলেন, ব্লকের নেতারা কোন্দল না থামালে আগামী পঞ্চায়েত ভোট করা মুশকিল হয়ে পড়বে বড়ঞায়।