লিলুয়া: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affairs) মর্মান্তিক পরিণতি৷ তছনছ দুটো সংসার৷ প্রেমিকার স্বামীর হাতে বেঘোরে প্রাণ হারালো বিবাহিত প্রেমিক৷ গ্রেফতার প্রেমিকার স্বামী-সহ তিন৷ অন্যদিকে স্বামীর মৃত্যুতে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী৷ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার সাত ছেলে-মেয়ে৷ ওদের নিয়ে কোথায় যাব? বিশ্বনাথ আর বাকিদের ফাঁসি চাই৷’
পুলিস জানিয়েছে, নিহতের নাম বুদ্ধেশ্বর সাউ৷ থাকতেন লিলুয়ার দাসপাড়া রামকৃষ্ণ পল্লিতে৷ গত ১৯ জানুয়ারি রাতে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি৷ ২৫ জানুয়ারি আসানসোলের ধানবাদে দেহ উদ্ধার হয়৷ তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বুদ্ধেশ্বরকে৷ এই ঘটনায় লিলুয়া থানার পুলিস বিশ্বনাথ সাউ-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে৷ ধৃতদের মধ্যে একজন ভাড়াটে গুন্ডাও আছে৷
নিহতের স্ত্রী লক্ষ্মী বলেন, ‘আমার স্বামী মুটেয়ার কাজ করত৷ ঘটনার দিন আমি বাড়ি ছিলাম না৷ ওই দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিশ্বনাথ এসে স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়৷ বাইরে আরও তিন-চারজন ছিল৷ তারপর আমার স্বামীকে গাড়িতে করে কোথায় নিয়ে যায়৷ ফিরে এসে আমি প্রতিবেশীদের মুখ থেকে সবটা শুনি৷’ বুদ্ধেশ্বরের খোঁজ না পেয়ে লিলুয়া থানায় স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন স্ত্রী৷ অবশেষে ছ’দিন পর বুদ্ধেশ্বরের দেহ উদ্ধার হয় আসানসোলে৷
আরও পড়ুন: Bihar Accident: বিহারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু শিশুর, পতাকা তোলার সময় বিপত্তি
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বনাথের বউয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বুদ্ধেশ্বর৷ ওকে অনেকবার সাবধান করা হয়েছিল৷ কিন্তু ওই সম্পর্ক থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারেনি৷ তারই মর্মান্তিক পরিণতি এই মৃত্যু৷ পুলিস সূত্রে খবর, ভাড়াটে গুন্ডার সাহায্যে খুন করা হয়েছে৷ গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বুদ্ধেশ্বরকে৷ পুলিসি জেরায় ধৃতরা অপরাধ কবুল করেছে৷