কাকদ্বীপ: অবশেষে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ পাঁচ মৎস্যজীবীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। সুন্দরবনের কেদো দ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে বাঘের চর এলাকায় আটকে পড়েছিল ওই পাঁচ মৎস্যজীবী। কোস্টগার্ড এবং মৎস্যজীবীদের চেষ্টায় সুস্থভাবে উদ্ধার করা হল তাঁদের। পাশাপাশি উদ্ধার করা হল ডুবে যাওয়া ট্রলার সত্যনারায়ণ। বেশ কয়েকটি ট্রলারের সঙ্গে দড়ি বেঁধে সেই ট্রলারটিকে নিয়ে আসা হয়েছে কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে।
প্রসঙ্গত, ডোবা ট্রলারের খোঁজে গিয়ে ডুবে যায় আরও একটি ট্রলার। ওই ট্রলারেও ১৮ জন ছিলেন। শুক্রবার কাকদ্বীপ থেকে রওনা দেয় এফবি শঙ্খধ্বনি নামে ট্রলারটি। সেটি ডুবে যাওয়া ট্রলার সত্যনারায়ণের খোঁজে যাচ্ছিল। প্রবল ঝড়ের মধ্যে পড়ে শঙ্খধ্বনি ফিরে আসার চেষ্টা করে। প্রবল ঢেউ এবং উন্মত্ত হাওয়ার জেরে শঙ্খধ্বনি ডুবে যায়। উপকূলরক্ষী বাহিনী তল্লাশি শুরু করেছে। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হয়। এই ট্রলারের মালিক রণজিত হালদারের বাড়ি কাকদ্বীপে।
আরও পড়ুন : Midnapore: ঝড়ে বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুর, তোরণ, হোর্ডিং ভেঙে রাস্তায়
গত বুধবার এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায়। মাছ ধরে ফিরে আসার সময় সেটি ঝড়ের মুখে পড়ে উল্টে যায়। ওই ট্রলারে ১৮ জন মতস্যজীবী ছিলেন। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের মাধ্যমে খবর যায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তারা তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু খারাপ আবওয়ার জন্য তল্লাশি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই ১৮ জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তার উপরে ফের বিপর্যয় ঘটল শঙ্খধ্বনি ডুবে যাওয়ায়।